
সমুদ্র স্নানের মজা নিতে গিয়ে ঘড়ির কাঁটা যে এগিয়ে গেছে অনেকখানি, টের পাননি দুজনের একজনও। বদ্ধ গাড়ির ভেতর শিশুটির তখন শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। গলগল করে ঘাম বেরোচ্ছে। বাঁচার জন্য কাঁচের জানলায় ছোট্ট মুঠি দুটো এসে আছড়ে পড়ছে বারবার। আচমকাই তা নজরে আসে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য গাড়ির চালকদের।
দ্রুত পুলিশকে জানান তাঁরা। পুলিশ এসে গাড়ির কাঁচ ভেঙে উদ্ধার করে শিশুটিকে। ততক্ষণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশুটি। তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরাই। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আজ সকালে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় দিঘার সমুদ্র সৈকতে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গড়িয়া থেকে আজই দিঘা বেড়াতে এসেছেন ওই দম্পতি। সমুদ্র সৈকতে পৌঁছেই পাঁচ বছরের সন্তানকে গাড়িতে রেখে সমুদ্রে নেমে পড়েন তাঁরা। শিশুটি যাতে কোথাও চলে যেতে না পারে তার জন্য গাড়ি লক করে যান। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় সমুদ্রে স্নান করেন। পরে সৈকতে হইচই শুরু হতেই সম্বিত ফেরে তাঁদের। গাড়ির কাছে ছুটে যেতেই সৈকতে থাকা মানুষজন ঘিরে ফেলে ওই দম্পতিকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। পুলিশের ঘেরাটোপ থেকে কার্যত ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বাবাকে। কোনও রকমে তাদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শিশুটির বাবা মাকে আটক করেছে পুলিশ। কীভাবে সন্তানকে গাড়িতে আটকে রেখে সমুদ্র স্নানে চলে গেলেন ওই দম্পতি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।