
কনটেনমেন্ট জোন কীভাবে নির্ধারিত হবে?
ফিরহাদ এদিন জানান, কোনও এলাকার কোনও একটি আবাসনে ৪-৫ জন করোনা পজিটিভ হলেই সেই আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। এর চেয়ে বেশি কেস থাকলে মাইক্রো নয়, সরাসরি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে সেই এলাকাকে।
নিয়মিত স্যানিটাইজেশন চলবে সেইসব আবাসনে ও এলাকায়। গতিবিধি আরও কমানো হবে। বাজারে মাস্ক ছাড়া বিক্রিবাটা নিষিদ্ধ হবে। চলবে প্রচারও। শুধু কনটেনমেন্ট জোন নয়, অন্যান্য জনবহুল এলাকাতেও অর্থাৎ বাজারে, জনবহুল রাস্তায় হবে স্যানিটাইজেশন।
পুরসভার বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে মানিকতলা, ফুলবাগান, কাঁকুরগাছি, প্রগতি, ট্যাংরা, আরবানা-সহ একাধিক এলাকায়।
দেখে নিন তালিকা।মেয়র জানিয়েছেন, এই কড়াকড়ির মাধ্যমে জানুয়ারীর ১০-১৫ তারিখের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে।
এদিন ফিরহাদ হাকিম কোভিড বিধি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, অনেকে কোভিড-বিধি মেনে চলছেন না। মানুষকে সচেতন করা যায়, জোর করা যায় না। তিনি আরও জানান, আপাতত আবাসন বা বাড়ি অথবা ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। পরবর্তী অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ, সোমবার রাত থেকেই এই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনগুলি কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করছে কলকাতা পুরসভা।
এদিন জানা যায়, কলকাতায় তিনটি সেফ হোমও চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০০ শয্যার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, তপসিয়ার ২০০ শয্যার সংবাদ প্রতিদিন হাউস এবং ৫০ শয্যার উত্তর কলকাতার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনের লেডিস হস্টেল।