
দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার: বাঘ গুনতে বসানো ক্যামেরা উধাও হয়ে গেল বক্সার জঙ্গল থেকে। বনাধিকারিকরা বলছেন, এ ক্যামেরা কারওই কোনও কাজে আসবে না। ক্ষতি যা হল তা বন দফতরের। তাই কে, কী উদ্দেশ্যে ক্যামেরা চুরি করল সেটাই প্রশ্ন। তবে ওই ক্যামেরার ছবি দেখে এক চোরাশিকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এক আধিকারিক। তাই এর পিছনে চোরাশিকারীদের হাত থাকার কথা উড়িয়ে দিতে পারছেন না তাঁরা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বক্সার জঙ্গলে বাঘ সুমারির জন্য ৩৪৯ টি ক্যামেরা বসিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ১০ টি ক্যামেরার হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে বনদফতর সূত্রে খবর।
বিশেষ এই ট্র্যাপ ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘ গণনার জন্য গোটা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের মোট ৭৬০ বর্গফুট এলাকাকে দুটো ব্লকে ভাগ করা হয়েছিল। ব্লক ১ ও ব্লক ২। বক্সা ও ভুটান লাগোয়া এলাকাকে ব্লক ১ এ রাখা হয়েছিল। আর বক্সার সমতল এলাকাকে রাখা হয়েছিল ব্লক ২ এ। ব্লক ১ এবং ব্লক ২ কে আবার বিভিন্ন গ্রিডে ভাগ করা হয়েছে। ব্লক ১-এ ছিল ৯২ টি গ্রিড। ব্লক ২-এ ছিল ১০৪ টি গ্রিড। প্রত্যেকটিতে ছিল দুটো করে ট্র্যাপ ক্যামেরা। একটি কেসে ভরে ক্যামেরাগুলি লাগানো হয়েছিল।
জিপিএসের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ক্যামেরাকে যুক্ত করা হয়েছিল। সম্প্রতি এই সব ক্যামেরা খুলে নিয়ে এসেছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। আর তখনই নজরে পড়ে ১০টি ক্যামেরা উধাও। পাওয়া যাচ্ছে না ক্যামেরায় থাকা তথ্যও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বক্সার এক বন আধিকারিক বলেন, “আমাদের প্রাথমিক ধারণা বন লাগোয়া এলাকার মানুষজন কৌতুহল বশে এই সব ক্যামেরা চুরি করেছে। কিন্তু আমেরিকান কোম্পানির এই সব ট্র্যাপ ক্যামেরা কারও কোনও কাজে লাগবে না। তবে এই ক্যামেরার ছবি দেখে আমরা এক চোরাশিকারিকে গ্রেফতারও করেছি। তাই এর পিছনে চোরাশিকারীদের হাত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা। বন দফতর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা কল্যাণ রাই বলেন, “ক্যামেরা চুরির বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কারা এই ক্যামেরা চুরি করল তা আমরা খতিয়ে দেখছি। চোরাশিকারিদের যোগসাজসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”