
কীভাবে রাখে? সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, কেবল লোকেশন নয়, গুগলের অন্যান্য অ্যাপেও লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা আছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যদি কেউ গুগল ম্যাপ খোলে, সঙ্গে সঙ্গে গুগল তার লোকেশনের স্ন্যাপশট নেয়। তার পরে বিজ্ঞাপনদাতাদের জানিয়ে দেয়, সেই ব্যক্তি কোথায় আছেন। তাতে বিজ্ঞাপনদাতাদের বিশেষ সুবিধা হয়।
কীরকম সুবিধা?
ধরা যাক কোনও ব্যক্তি গুগলে খোঁজ করছেন, বাচ্চাদের জন্য ভালো সায়েন্স কিট কোথায় পাওয়া যাবে? বিজ্ঞাপনদাতারা সঙ্গে সঙ্গে জেনে নেয়, তিনি কোথায় আছেন। তাঁর কাছাকাছি যে সব দোকানে সায়েন্স কিট পাওয়া যায়, তার বিজ্ঞাপন ভেসে উঠবে মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের পর্দায়।
ফোন ব্যবহারকারীর ওপরে যে নজর রাখা হয়, সেকথা গুগলও অস্বীকার করেনি। এক বিবৃতিতে ওই সংস্থা জানিয়েছে, আমরা লোকেশন হিস্ট্রি, ওয়েব ও অ্যাপ অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির অবস্থান জানতে পারি। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি কোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন অথবা কোন সাইট খুলে দেখছেন, সেসবের মাধ্যমে তাঁর অবস্থান জানতে পারে গুগল।
অনেকে বলছেন, গুগল মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে। কোনও ব্যক্তি তাঁর গতিবিধি গুগলকে জানাতে না চাইতেই পারেন। গুগল কৌশলে অন্যের ওপরে নজর রেখে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করছে।