
পুরুলিয়া ১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক সাপাত আনসারি, বিশ্বনাথ মাহাতোরা জানান, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছিল l তাই অনেক আশা নিয়ে ধান বসিয়েছিলেন। চারাও বেরিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর বৃষ্টি হয়নি। ফলে মরতে বসেছে সেই চারা। তাঁরা বলেন, “হাজার হাজার টাকা খরচ করে ধান লাগিয়েছিলাম l চারাও বেরিয়েছিল l এমন হবে কী করে বুঝবো ? শেষপর্যন্ত যদি ধান না হয় পথে বসতে হবে।”
কোটলুই গ্রামের বাসিন্দা মিথিলা মাহাতো বলেন, “জুন মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত মোটে বৃষ্টি হয়নি। জমি এখন আর চেনা যাচ্ছে না। সব গাছ শুকিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের সব পুকুর শুকিয়ে গেছে। কংসাবতী নদী যেন ফাঁকা মাঠ। মাঠে যে জল এনে দেব, তারও জো নেই।”
জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক ডাঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি ভারী বৃষ্টি না হয় তাহলে জেলায় এ বার আর ধান চাষ হবে না। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত জেলার কোনও জায়গাতেই চাষের জমি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। যেখানে ২৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা সেখানে সেখানে মাত্র ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ ১৪১ মিলিমিটার। তাই এবছর পুরুলিয়া জেলায় ধান চাষ সত্যিই সঙ্কটের মুখে।”