
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বেতাই ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া প্রাণতোষের সঙ্গে বাহাদুরপাড়ার বাসিন্দা এক তরুণীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে চার হাত এক হতে পারেনি। কিছুদিন আগে পড়াশোনায় ইতি টেনে প্রেমিক প্রাণতোষ রাজ্যের বাইরে শ্রমিকের কাজ করতে চলে যান। দিন পনেরো আগে বাড়ি ফেরেন সে। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাকে এড়িয়ে চলছিল তার প্রেমিকা। এরই মধ্যে প্রাণতোষ জানতে পারেন, অন্যত্র ওই তরুণীর বিয়ে পাকা করে ফেলেছে তার পরিবার।
এই খবর পাওয়ার পরে শুক্রবার সকালে প্রেমিকার বাড়ির উঠোনে ‘আমার ভালবাসা ফিরিয়ে দাও’ প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসে প্রাণতোষ। সাত সকালে এ ঘটনা দেখতে জড়ো হয় এলাকার কৌতুহলী মানুষ। অভিযোগ, হঠাৎ প্রেমিকার মা ছুটে এসে প্রাণতোষের ঘাড়ের কাছে পোড়া মাটির টালি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। জ্ঞান হারান প্রাণতোষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আহত ওই যুবককে হাসপাতালে পাঠায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ রয়েছে। প্রাণতোষের বাড়ি তেহট্ট থানার ইলিশামারিতে।
সাত-আট বছরের প্রেম ছিল অনন্ত আর লিপিকার। হঠাৎই তাতে ছেদ পড়ে। সব যোগাযোগ বন্ধ করেন লিপিকা। ধূপগুড়ির কলেজ পাড়ার বাসিন্দা অনন্ত জানতে পারেন প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়েছে অন্যত্র। তারপর শুরু তাঁর নীরব প্রতিবাদ। একেবারে অহিংস পথে। প্রেমিকার বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্না। সমর্থনও পেয়ে যান সাধারণ মানুষের। প্রেমিকের জেদের কাছে নতি স্বীকার করতে হয় লিপিকাকে। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। বিয়ে হয় তাঁদের।
চলতি মাসের শুরুতেই এই ঘটনা ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং। অনন্ত শেষ হাসি হাসলেও প্রাণতোষের ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা ঘটল না।