
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বন্দুকবাজের হামলা দক্ষিণ ক্যারোলিনায়। ফ্লোরেন্স কাউন্টিতে একটি শিশুকে আটক করে মুক্তিপণ চাইছিল এক আততায়ী। তার কবল থেকে শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়েই আততায়ীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় পুলিশের। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক অফিসারের। গুরুতর জখম হন আরও ছ’জন পুলিশ কর্তা।
ঘটনাটা মঙ্গলবারের। স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ শিশুটির বন্দি হওয়ার কথা পুলিশকে জানায় তার পরিবার। ফ্লোরেন্স কাউন্টির তিন জন শেরিফ-সহ জনা সাত পুলিশ কর্তা আততায়ীকে ধরার জন্য রওনা দেন।
মেজর মাইক নানের কথায়, শিশুটিকে একটি বাড়ির মধ্যে আটকে রেখেছিল ওই দুষ্কৃতী। তার কাছে প্রচুর পরিমাণে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। শিশুটিকে বের করে দেওয়ার কথা বললেই সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। প্রায় ঘণ্টা খানেক দু’পক্ষের গুলি বিনিময় চলে। শেষে ধরা পড়ে আততায়ী।
https://twitter.com/realDonaldTrump/status/1047637712004636673
সংঘর্ষের সময় গুলি লেগে গুরুতর জখম হন এক পুলিশ অফিসার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলিতে আহত হন ছ’জন পুলিশ অফিসার। তাঁদের মধ্যে তিন জন শেরিফ। ফ্লোরেন্স পুলিশের শীর্ষ কর্তা অ্যালেন হেডলার বলেছেন, ‘‘আমাদের একজন সাহসী অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। বীরের মতো লড়াই করে শিশুটিকে বাঁচিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা ও শ্রদ্ধা রইল।’’
নিহত পুলিশ অফিসারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা রইল ফ্লোরেন্স কাউন্টির শেরিফ ও সব পুলিশ অফিসারদের জন্য। ফ্লোরেন্সের প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য আমরা চিরকালই গর্বিত।’’
This is simply devastating news from Florence. The selfless acts of bravery from the men and women in law enforcement is real, just like the power of prayer is real. (1/2)
— Gov. Henry McMaster (@henrymcmaster) October 3, 2018
Peggy and I ask that you pray for them, pray for their recovery, pray for their families, and pray for all of Florence. (2/2)
— Gov. Henry McMaster (@henrymcmaster) October 3, 2018
ঘটনার সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসের যোগ রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার। তবে ঘটনাটা নেহাতই দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, পুলিশ অফিসারদের এই স্বার্থত্যাগ সত্যিই গর্বের বিষয়। জখম পুলিশ অফিসারদেরও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।