
- দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর সময়ও দিনরাত রোগী দেখে গেছেন। উৎসবের আনন্দ তাঁকে স্পর্শ করেনি। আলোকিত পথঘাট ছাড়িয়ে বারবার চোখ চলে যেত দূরে। ওই বুঝি আসেন কোনও দুঃস্থ মানুষ, যাঁর ঘরে কানাকড়িও অবশিষ্ট নেই। তাঁদের জন্যই অপেক্ষা করতেন ডক্টর হিমাদ্রি চক্রবর্তী (Doctor Himadri Chakraborty)।
বর্তমানে রাজারহাট কোভিড হাসপাতালের ডাক্তার তিনি। তবে আগে ছিলেন চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। নদিয়ার দুঃস্থ রোগীদের বিনামূল্যে পরিষেবা দিতেন। তাঁর চিকিৎসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন বহু মুমূর্ষু রোগী। নদিয়ার মানুষের কাছে আজও তিনিই ভগবান, সবাই ডাকেন ‘গরিবের ডাক্তারবাবু’।করোনার বাড়বাড়ন্তের দিনগুলোয় বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং কন্যাকে ফেলে হিমাদ্রিবাবু চলে গেছিলেন রাজারহাট কোভিড হাসপাতালে। দিনরাত পড়ে থাকতেন সেখানেই। প্রাইভেটেও রোগী দেখতেন। তবে করোনা রোগীদের থেকে কোনও দিন পারিশ্রমিক নেননি তিনি। স্বচ্ছল রোগীরা জোর করে ফি দিতে চাইলে তিনি অনুরোধ করেন স্বেচ্ছাসেবীদের তহবিলে দান করার জন্য।
ভাঙড়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে খুন স্বামীকে! কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত
হিমাদ্রিবাবুর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর আদর্শ ছিল মানুষের সেবা করা। জীবনভর সেই কাজের ভার নিয়েই আজকের মহীরুহ তিনি। তাঁর চিকিৎসার ক্ষেত্র কেবল হাসপাতালেই সীমাবদ্ধ নয়। পথেঘাটে যখনই কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, সামনে থাকলে তাঁকে সারিয়ে তুলেছেন গরিবের ডাক্তারবাবু। বিভিন্ন চিকিৎসাক্ষেত্রে দান করেছেন লক্ষাধিক টাকা।বর্তমানে কর্মসূত্রে রাজারহাটের কোভিড হাসপাতালের সংযুক্ত থাকলেও সপ্তাহে একবার করে আসেন চাকদহে। সেখানকার মানুষের সঙ্গে আজও যেন বাঁধা পড়ে আছেন ডাক্তারবাবু। চাকদহের দুটো ক্লিনিকে নিয়ম করে বসেন। তিনি আসছেন শুনে কতশত রোগী আবার আশায় বুক বাঁধেন। ভগবানকে কাছে পাওয়ার আনন্দেই অর্ধেক সংকট দূর হয়ে যায়। বাঁচার আনন্দে খুশি হয়ে ওঠেন চাকদহের মানুষ।