দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রথম ইনিংসে যদি অশ্বিন দাপট দেখান তাহলে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বোলিং হিরো হয়ে উঠলেন মহম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টপ ও মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ল। লোয়ার অর্ডার কিছুটা প্রতিরোধ দেখালেও তা কাজে এল না। ২০৩ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতল ভারত।
হাতে ৯ উইকেট নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেছিলেন দু প্লেসিরা। কিন্তু শুরুতেই ডি ব্রুইনকে আউট করে ধাক্কা দেন অশ্বিন। এই উইকেটের সঙ্গেই টেস্টে ৩৫০ উইকেটের মালিক হলেন তিনি। মুথাইয়া মুরলীধরণের সঙ্গে মাত্র ৬৬ টেস্টে যুগ্ম দ্রুততম ৩৫০ উইকেট নিলেন অশ্বিন।
তারপর ভারতের পেস বোলার মহম্মদ শামির একটা স্পেলেই কোমর ভেঙে গেল প্রোটিয়াদের। তাঁর হাতে পরপর বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন বাভুমা, দু প্লেসি ও ডি কক। এই ধাক্কা সামলাতে সামলাতে এক ওভারে তিনটে ধাক্কা দিলেন জাদেজা। এক ওভারে মার্করাম, ফিলান্ডার ও কেশব মহারাজকে আউট করেন তিনি। মাত্র ৭০ রানে ৮ উইকেট পড়ে যায় প্রোটিয়াদের।
দেখে মনে হচ্ছিল লাঞ্চের আগেই অলআউট হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তখনই পার্টনারশিপ গড়লেন মুত্থুস্বামী ও ড্যান পিট। ভারতীয় বোলাররা উইকেটের জন্য আক্রমণাত্মক বোলিং করছিলেন। তার ফায়দা তুলছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। ফিল্ডাররা ভিতরে থাকায় বড় শট খেলে রান তুলছিলেন। পিট নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
৫৬ রানের মাথায় পিটকে আউট করেন শামি। রাবাদাকেও ১৮ রানের মাথায় আউট করে ম্যাচ শেষ করে দেন শামি। মুত্থুস্বামী ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই টেস্টে ২০৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ের ফলে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিন টেস্টে ১৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল ভারত।