দ্য ওয়াল ব্যুরো: জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে উঠল লেখাটা, ‘আউট’। ম্যাঞ্চেস্টার তখন স্তব্ধ। ব্যাট হাতে নিয়ে প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে যাচ্ছে ক্লান্ত শরীরটা। মনের জোর থাকলেও শরীর যে সবসময় সাথ দেয় না সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লাগছিলো সবার। নইলে যে থ্রোতে ধোনি রানআউট হলেন সেটা কয়েক বছর আগে হলে হেসে খেলে পৌঁছে যেতেন। আর তখনই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য। মাঠের বাইরে বেরনোর সময় চোখে জল মহেন্দ্র সিং ধোনির। হয়তো বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন বুঝতে পেরেই নিজেকে সামলাতে পারছিলেন না মাহি।
অথচ এই ধোনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন আশা ছিল। প্রথমে জাদেজার সঙ্গে ১১৬ রানের পার্টনারশিপ। জাদেজা আউট হওয়ার পর পুরোটাই ছিল তাঁর কাঁধে। সেই চেষ্টাও করেছিলেন। লকি ফার্গুসনকে প্রথম বলেই পয়েন্টের উপর দিয়ে ছয় মারেন। কিন্তু তিন নম্বর বলেই রানআউট। নিজেকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ধোনি। অঙ্কের নিখুঁত ক্যালকুলেশন করে এগিয়েছেন। সেটা এ ভাবে রানআউটে শেষ হয়ে যাবে।
আর সে জন্যই হয়তো এমন ছবি দেখা গেল যা বিশ্বক্রিকেট কোনওদিন দেখেনি। ভারতকে দুটো বিশ্বকাপ দিয়েছেন ধোনি। কিন্তু কোনওদিন বাড়তি উছ্বাস দেখা যায়নি। এমনকী ২০১১ সালে ওয়াংখেড়েতে ছক্কা মেরে ভারতকে জেতানোর পরেও শান্ত ছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। সেই ধোনির চোখে জল। হয়তো বুঝতে পারছিলেন ব্যাট হাতে জীবনের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না। হয়তো বুঝতে পারছিলেন তাঁর ক্রিকেট জীবন শেষের পথে। হয়তো বুঝতে পারছিলেন তাঁর শরীর আর তাঁর মনের কথা শোনে না। আর তাই হয়তো চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল জল। আসলে তিনিও তো মানুষ। যতই নির্লিপ্ত থাকুন না কেন, কখনও কখনও নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক যেমন এ দিন হলো ধোনির সাথে।