শেষ আপডেট: 9th October 2022 07:15
বলিভিয় রেঞ্জারদের এক ইনফর্মার দুর্গম ও সংকীর্ণ ইউরো গিরিখাতের মধ্যে গেরিলা ক্যাম্পের হদিশ পেয়েছিলেন। সূর্যোদয়ের আগেই জঙ্গল ঘিরে ফেলেছিল ১৮০০ বলিভিয় সেনা। শুরু হয়েছিল এক অসম যুদ্ধ। ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে, কান ফাটানো ট্যাট- ট্যাট শব্দ তুলে মেশিনগান থেকে ছুটে আসছিল গুলি। বাতাসে উড়ছিল ক্ষতবিক্ষত ঝোপের ডালপালা ও পাতার খন্ডগুলি। চারিদিকে লুটিয়ে ছিল বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীর লাশ। গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল তাঁর দুটি পা। হাত থেকে ছিটকে ঝোপের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল বহুদিনের সঙ্গী রাইফেলটিও।
ইউরো গিরিখাত ঘিরে ফেলেছিল আমেরিকার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া বলিভিয় সেনা। বৃত্ত ছোট করতে করতে ক্রমশ এগিয়ে আসছিল তারা। একটা গাছের গুঁড়িতে হেলান দিয়ে পকেট থেকে হাভানা চুরুট বের করতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল জনা পাঁচেক বলিভিয়ান সেনা। রাইফেল তাক করেছিল তাঁর ওপর। যাঁকে লাতিন আমেরিকার জঙ্গলে জঙ্গলে উন্মত্ত হায়নার মতো খুঁজছিল আমেরিকা। বলিভিয় রাইফেলের নলের সামনে শান্ত হয়ে হাতের পাতাটি রেখেছিলেন। ঠান্ডা গলায় বলেছিলেন ‘গুলি কোরো না। আমি চে গেভারা। মৃত চে গেভারার চেয়ে জীবিত চে গেভারার (Che Guevara) দাম অনেক বেশি।”
আর্জেন্টিনাজাত ডাক্তার এবং চরম বামপন্থী বিপ্লবী চে গেভারা, যিনি ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে না থাকলে বুঝি কিউবার স্বাধীনতা আসত না। কিউবাকে স্বাধীন করার কৃতজ্ঞতায় বন্ধু চে গেভারাকে কিউবার মন্ত্রীত্ব দিয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। কিন্তু রক্তে যাঁর বিপ্লবের আগুন, তাঁর মন্ত্রীত্বের কুর্সি ভালো লাগবে কেন! তাই হেলায় কুর্সি ছুঁড়ে ফেলে নেমে পড়েছিলেন আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার কিছু দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে।
শুরু করেছিলেন বলিভিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ। তৈরী করেছিলেন বলিভিয়ার ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রচুর অর্থ ছড়িয়ে আগে থেকেই আটঘাট বেঁধে রেখেছিল। ফলে অসফল হয়েছিল চে গেভারার রণকৌশল। অকুতোভয় বিপ্লবী চে গেভারা ধরা পড়েছিলেন, আড়াই বছর আত্মগোপন করে থাকার পর। অস্ত যেতে শুরু করেছিল বলিভিয়ার স্বাধীনতা সূর্য।
সকাল গড়িয়ে দুপুর এসেছিল। আহত চে গেভারার পায়ের ক্ষত থেকে রক্ত ঝরেই চলেছিল। সেই অবস্থাতেই জঙ্গল পথে তাঁকে প্রায় চার মাইল হাঁটিয়ে, বলিভিয় সেনারা নিয়ে এসেছিল, লা হিগুয়েরা শহরের বাইরে এক স্কুল বাড়িতে। শুরু করেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। বলিভিয় সেনার হাতে বন্দি চে গেভারা কে দেখেছিলেন, বলিভিয় সেনার পাইলট জাইমে নিনো ডি গুনজমান।হাত পা বাঁধা, মাথার চুলে জট, সারা গায়ে ধুলো। শতচ্ছিন্ন পোশাকে লেগে রয়েছে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও মাথা সব সময় উঁচু ছিল চে গেভারার। প্রশ্নকর্তাদের চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে একের পর এক প্রশ্ন শুনে চলেছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর দিচ্ছিলেন না।
বাকি দিনটা, আহত চে গেভারার উপর অকথ্য চালিয়েছিল বলিভিয় সেনা। তারপরও জীবিত কমরেডদের সম্পর্কে চে গেভারার মুখ থেকে একটি শব্দ বার করতে পারেনি। বুটের লাথি, ছুরির খোঁচা, সিগারেটের ছ্যাঁকা সহ্য করতে করতে ঠাণ্ডা গলায় গুনজমানের কাছে তামাক চেয়েছিলেন 'চে'। গুনজমান তাঁকে এক প্যাকেট তামাক দিয়েছিলেন। আহত হাতে পাইপে তামাক ঠাসতে ঠাসতে চে গেভারা ধন্যবাদ দিয়েছিলেন গুনজমানকে।
সেই রাতে, চে গেভারার বিখ্যাত পাইপ নিজের কাছে স্মারক হিসাবে রাখবার জন্য, পাইপটি গেভারার ঠোঁট থেকে ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন এসপিনোসা। হাত বাঁধা অবস্থাতেই এসপিনোসাকে জোড়া পায়ে লাথি মেরে দূরের দেওয়ালে ফেলে দিয়েছিলেন চে গেভারা। বলিভিয়ার রিয়ার অ্যাডমিরাল, উগার্তেচের মুখে থুতু দিয়েছিলেন 'চে'। তাঁর সঙ্গে নোংরা ভাষায় কথা বলার জন্য। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে।
গ্রামের কয়েকজন স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন বন্দি চে গেভারা। দেখা করতে এসেছিলেন কয়েকজন শিক্ষক, তাঁদের মধ্যে ছিলেন জুলিয়া কোর্তেজ নামে একজন ২২ বছর বয়েসি শিক্ষিকা। তিনি দেখেছিলেন, শান্ত ভাবে দেওয়ালে হেলান দিয়ে মেঝেতে বসে আছেন চে গেভারা। হাত পা বাঁধা অবস্থায়। কথা বলার সময় চে গেভারার চোখের দিকে তাকাতে পারছিলেন না জুলিয়া। অসামান্য চোখদুটি যেন নেশা ধরিয়ে দিচ্ছিল। ভাঙাচোরা পরিত্যক্ত স্কুলের ছাদ জুলিয়াকে দেখিয়ে চে গেভারা বলেছিলেন, “এই হল স্কুলের অবস্থা। আর আপনি কি মনে করেন, বলিভিয়ার ছাত্ররা শিক্ষিত হবে? গভর্মেন্ট অফিসাররা কিন্তু মার্সিডিজ গাড়ি চালাচ্ছেন। আমরা এরই বিরুদ্ধে লড়ছি”।
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট রেনে ব্যরেন্টোস, সকাল দশটা নাগাদ চে গেভারাকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। বলিভিয় সেনার ইউনিটটির কাছে চে গেভারার মৃত্যু পরোয়ানা এসে গিয়েছিল। ইউনিটটির কম্যান্ডার ছিলেন কিউবার মানুষ। নাম ফেলিক্স রড্রিগেজ। যিনি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হয়ে কাজ করছিলেন বলিভিয়ায়। বলিভিয় কম্যান্ডারের ছদ্মবেশে। আমেরিকা চাইছিল জীবিত চে গেভারাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পানামা নিয়ে যেতে। কিন্তু বলিভিয়ার নেতৃত্ব চাইছিল চে গেভারার মৃত্যু। কারণ তারা ভয় পাচ্ছিল জনসমক্ষে চে গেভারার বিচার হলে, চে গেভারা বলিভিয়ার মানুষের সহানুভূতি পাবেন। ফলে আবার উস্কে উঠবে বলিভিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন।
তাছাড়া সমর কৌশলে কিংবদন্তি চে গেভারা, কখন কী ভাবে জাল কেটে বেরিয়ে যাবেন কেউ জানে না। তাই আমেরিকা সহ সারা বিশ্বকে বোকা বানাতে বলিভিয়ার সরকার সাজিয়েছিল 'নাটক'। বিশ্বকে জানানো হবে সম্মুখযুদ্ধে যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়ে মারা গিয়েছেন গেরিলা নেতা চে গেভারা। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন, কিউবাজাত বলিভিয় কমান্ডার ফেলিক্স রড্রিগেজ । তাঁর একবার মনে হয়েছিল চে গেভারা কিউবার অনেক মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। আবার মনে হয়েছিল, এই চে গেভারা তাঁর দেশ কিউবাকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু বলিভিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলিভিয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই ফেলিক্স রড্রিগেজ তাঁর ইউনিটে খোঁজ করেছিলেন একজন ঘাতকের, যিনি হত্যা করবেন চে গেভারাকে।
ঘাতক হওয়ার জন্য নিজে থেকেই এগিয়ে এসেছিলেন, বলিভিয়ান আর্মির ২৭ বছরের সার্জেন্ট মারিও টেরান। মদ্যপ হিসেবে যাঁর কুখ্যাতি ছিল ইউনিটে। তাঁর ইউনিটের অনেকে চে গেভারার গেরিলাদলের সঙ্গে যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই আক্রোশ থেকে তিনি চে গেভারাকে হত্যা করার দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন। হত্যার আধ ঘন্টা আগে কম্যান্ডার ফেলিক্স রড্রিগেজ জিজ্ঞাসাবাদের শেষ চেষ্টা করেছিলেন চে গেভারাকে। কিন্তু চে গেভারা তখনও নিরুত্তর ছিলেন।
এরপর, আহত চে গেভারাকে কয়েকজন সেনার সাহায্যে নিজের পায়ে দাঁড় করানো হয়েছিল। নিয়ে আসা হয়েছিল ঘরের বাইরে। সমবেত সেনার সঙ্গে চে-এর শেষ ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলার পর চে গেভারাকে রড্রিগেজ জানিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুদণ্ড কয়েক মিনিটের মধ্যে কার্যকর করা হতে চলেছে। একজন সেনা অফিসার চে গেভারাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, চে গেভারা তাঁর অমরত্বের কথা চিন্তা করছেন কিনা। বলিভিয় অফিসারের চোখে চোখ রেখে চে গেভারা বলেছিলেন,“ না, আমি চিন্তা করছি বিপ্লবের অমরত্বের কথা”।
চে গেভারাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই ঘরে। তাঁর বধ্যভূমিতে। ঘরে একা ঢুকেছিলেন কম্যান্ডার ফেলিক্স রড্রিগেজ। চে গেভারা হাঁটু মুড়ে বসেছিলেন। দরজা খোলার ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে মুখ তুলে তাকিয়েছিলেন। চে গেভারাকে কম্যান্ডার রড্রিগেজ বলেছিলেন, মৃত্যু আসন্ন। রড্রিগেজের দিকে চে গেভারা ভাবলেশহীন দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন। একই রকম ঠান্ডা গলায় বলেছিলেন,"আমাকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার চেয়ে, হত্যা করাটা ভাল পদ্ধতি।” এরপর রড্রিগেজ হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চে গেভারার দিকে, জড়িয়ে ধরেছিলেন। চে গেভারার দিক থেকে সাড়া আসেনি। রড্রিগেজ ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। ঘরের বাইরে রিভলভার নিয়ে অপেক্ষারত সার্জেন্ট মারিও টেরানকে বলেছিলেন, চে গেভারার ঘাড়ের নিচে গুলি করতে। যাতে বলিভিয়ার মানুষকে বোঝানো সম্ভব হয় গেরিলা যুদ্ধের অবিসংবাদী নায়ক চে গেভারা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
হত্যার দায়িত্ব নেওয়া অফিসার সার্জেন্ট টেরান ঘরে ঢুকেছিলেন। চোখ তুলে ঘাতকের দিকে নিস্পৃহ দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন 'চে'। বলেছিলেন, “আমি জানি তুমি আমাকে মারতে এসেছো” বলে মৃদু হেসেছিলেন। তারপর কেটে কেটে বলেছিলেন, নাও গুলি করো। তুমি কেবল একজন মানুষকে মারতে পারবে, তার মতাদর্শকে নয়।” আর একটিও কথা না বলে চে গেভারার হাতে পায়ে আটটি গুলি করে, সবশেষে গলায় নবম গুলিটি করেছিলেন সার্জেন্ট টেরান। একটুও আর্তনাদ না করে, চোখ খুলে গুলি খেতে খেতে, চোখ খুলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন চে গেভারা। মাত্র ৩৯ বছর বয়েসে।
দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে বলিভিয়া সরকার চে গেভারাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল। ওই দিন বিকেলে বিবিসি সংবাদে প্রচারিত হয়েছিল, গেরিলাদের সঙ্গে বলিভিয় সেনাদের সম্মুখযুদ্ধে মার্ক্সবাদী বিপ্লবী এর্নেস্তো চে গেভারা নিহত। গোপন ভাবে কবর দেওয়ার আগে, বলিভিয় সেনারা রক্তাক্ত চে গেভারার দেহ নিয়ে এসেছিল বলিভিয়ার ভালেগ্রাণ্ডে গ্রামে। বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। কিংবদন্তি বিপ্লবীর দেহ নিয়ে একটা ফটোসেশনও হয়েছিল। ঠিক সেই ভাবে, যেভাবে ভারতের রাজা মহারাজারা জঙ্গলে বাঘ বা সিংহ মেরে তাদের সঙ্গে ছবি তুলতেন। তারপর চে গেভারার শব লুকিয়ে রাখা হয়েছিল একটি হসপিটালের লন্ড্রির চৌবাচ্চায়।
মৃত্যুর পরও নিস্তার মেলেনি চে গেভারার । সরকারের আদেশে, বলিভিয়ান কমান্ডাররা মৃত চে গেভারার হাত দুটো কব্জি থেকে কেটে নিয়েছিলেন। যাতে তাঁর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া যায় এবং যাতে তাঁর বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোকে বোঝানো যায় চে গেভারা মৃত। এক সপ্তাহ পর, চে গেভারার কিউবা বিপ্লবের সঙ্গী ফিদেল কাস্ত্রো, সমবেত লক্ষ লক্ষ জনতার সামনে আবেগ বিহ্বল কণ্ঠে বলেছিলেন,“তারা ভুল করছে, যারা বিশ্বাস করে চে গেভারার মৃত্যু তাঁর মতাদর্শের পরাজয়। তাঁর কৌশলের পরাজয়। তাঁর গেরিলা চিন্তাধারার পরাজয়। চে গেভারা ও তাঁর চিন্তধারা অমর। তাঁর মৃত্যু নেই।"
সত্যিই চে গেভারার মৃত্যু হয়নি। তাইতো তাঁর মৃত্যুর ৫৩ বছর পরেও, সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চে গেভারার মুখ আঁকা টি শার্ট, বেরেট টুপি, ব্যানার। আর্জেন্টিনার প্রবাদপ্রতীম ফুটবলার মারাদোনার বাহুর উল্কিতে ফুটে ওঠে চে গেভারার প্রত্যয়ী মুখ। আজও কিউবার সান্টাক্লারাতে অবস্থিত চে গেভারার সমাধিতে সারা বিশ্ব থেকে ফুল দিতে আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আজও চে গেভারার বধ্যভূমি, বলিভিয়ার স্কুল বাড়িটিকে দেখতে যান তাঁরা। আজও সেই হসপিটালের লন্ড্রিটিকে সংরক্ষণ করে রেখেছেন বলিভিয়ার মানুষ। আজও 'লা হিগুয়েরা' শহরকে পাহারা দিচ্ছে চে গেভারার সুবিশাল ব্রোঞ্জের মুর্তি। যার নিচে লেখা, 'তুমিই এনেছ নতুন প্রভাত”।
বৈভব ছুঁড়ে ফেলা একজন গেরিলা ডাক্তারের রোমান্টিক জীবন ও মৃত্যু, বুঝি এভাবেই বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত জন্ম দেয় নতুন বিপ্লবের। না হলে মৃত্যুর ৫৫ বছর পরেও কেন বিশ্বের কোনে কোনে, যুবক যুবতীদের বুকে বুকে ঘুরে বেড়ান চে গেভারা! কেন যুবক যুবতীরা দায়িত্ব নিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন আমেরিকার চক্ষুশূল মানুষটিকে! আসলে চে গেভারারা ঘুমান না, ঘুমাতে দেন না। একজন কবরে ঘুমান, জেগে ওঠেন হাজার হাজার এর্নেস্তো চে গেভারা।
সূত্র : “Death of a Revolutionary: Che Guevara’s Last Mission” by Richard Harris, “Che Guevara: A Revolutionary Life.” by Jon Lee Anderson