চৈতালী চট্টোপাধ্যায়
১
একটু-আধটু মন-রাখা তো ছুঁড়ে দিতে পার।
বাঁ-হাতে।
চাঁদ সওদাগরের মতো।
তারপর,অনেকদিন পর
আমরা কোথাও বসে খুব কথা বলব।
হয়তো।
সেইসব গল্প, যাদের শুরু নেই।
শেষও নেই কোনও
২
কাল যদি চলে যাই। আগের মুহূর্তে
ঠিক মনে হবে,জীবন
১
একটু-আধটু মন-রাখা তো ছুঁড়ে দিতে পার।
বাঁ-হাতে।
চাঁদ সওদাগরের মতো।
তারপর,অনেকদিন পর
আমরা কোথাও বসে খুব কথা বলব।
হয়তো।
সেইসব গল্প, যাদের শুরু নেই।
শেষও নেই কোনও
২
কাল যদি চলে যাই। আগের মুহূর্তে
ঠিক মনে হবে,জীবন এত ছোট কেনে...
গৌতমের গানও মনে হবে,
কত কী করার ছিল বাকি...
আমি একটা খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছি।
তোমার সঙ্গে যোগ, এটা অলৌকিক!
কিন্তু আমার শূন্যতারই ম্যানিফেস্টেশন মাত্র
৩
খুব অন্ধকার। চারপাশে শব্দগুলো বরফ হয়ে আছে।
একটা কথা শুধু আলোর মতো স্বপ্রকাশ-
দেখা না হলে আজ, আমারও কিছু যায় আসে না!
অদেখা তোমাকে জলের মতো পড়ি আমি!
ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন...
লোকে যৌনতা বিছিয়ে দেয় পথে।
আর তুমি কেবল তর্ক কর তর্ক কর তর্ক কর।
এটাই কেলেংকারির মূল সুতো
৪
ভোরের ঠিক আগে -আগে।
ব্রাহ্মমুহূর্ত তখন। আকাশে ফিরোজা রঙের মেঘ।
হিংস্র চৌকাঠ। ধর্ষণের চৌকাঠ। অসুখের চৌকাঠ।
টপকে টপকে
আমার খুব ইচ্ছে করে তোমাকে নিয়ে
সদর স্ট্রিট কিড স্ট্রিট ঘুরতে।
সিমেন্টের স্ল্যাবে বসে, গাঁজা না, চা-ই খাব আমরা।
ইচ্ছে করে নাখোদা মসজিদের ওই,
মস্ত ভিড়, ওই মজার রাস্তায় হাঁটতে।
বাগবাজার ঘাটে গয়নার নৌকো দেখতে।
বলি কী, একটা জন্ম ইজ নট ফেয়ার এনাফ
৫
ধুলোকণাটি আলোয় ভরে যাচ্ছে।
ফুটে উঠছে তোমার মুখ!
খুব অন্ধকারের মধ্যে রান্নাবাটি খেলতাম যখন,
ছায়া, মানুষের চেহারা নিয়ে ভয় দিত যখন,
পাখিরা শিস টানতে ভুলে যেত,
আর রক্ত পড়ত রক্ত পড়ত রক্ত পড়ত...
মেঘ, সাইরেন বাজিয়ে বলত,
সংসার ঘোর রাজনীতি হয়ে উঠবে এবার!
তখন কি জানতাম তুমি আসবে এখানে
চৈতালী চট্টোপাধ্যায় বাংলা ভাষার একজন বিশিষ্ট কবি। প্রসার ভারতি তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে নির্বাচিত করেছে। পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের উদয়ভারতী জাতীয় পুরস্কার, মীরাবাঈ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণু দে ও বর্ণপরিচয় শারদ সম্মাননা। ছোটদের লেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছেন।