







হিমাচলের পাথরভাঙা শ্রমিক টেক্সাসে কিনেছেন প্রাসাদ, দলীপ সিং আজ ‘গ্রেট খালি’
“আমাকে যে পথ ধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই পথ ছিল ভীষণ কঠিন, সংকীর্ণ ও বিপজ্জনক। সেই পথে থাকা খাড়া পাহাড় আরোহণ করা আমার পক্ষে কোনও মতেই সম্ভব ছিল না। কিন্তু তবুও আমি এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার অনবরত মনে হচ্ছিল, কেউ আমায় রাস্তা দেখাতে দেখাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমার শরীরে শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমের পর খাড়া পাহাড়টায় আরোহণ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু শ্বাসকষ্টের জন্য আমার পক্ষে আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। আমি তাই সামান্য বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুয়ে পড়েছিলাম একটি বর্গক্ষেত্রাকার পাথরের ওপর। দু’মিনিট হয়েছে কি হয়নি, আমার তন্দ্রা কেটে গিয়েছিল একটি গম্ভীর গলার আওয়াজ পেয়ে। পরিষ্কার শুনতে পেলাম, “মাননীয় ফারেল, তুমি জুতো খোলো এবং ধীরে ধীরে পাথর থেকে নেমে আমার সঙ্গে এসো।” আমি তাকিয়ে দেখি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন অত্যন্ত শীর্ণকায় এক সাধু। কপাল থেকে যেন জ্যোতি ঠিকরে বের হচ্ছে। জীবনে তাঁকে দেখিনি। পরিচয় তো দূরের কথা। কিন্তু তিনি আমার নাম জানলেন কীভাবে? কীভাবে জানলেন আমি এখানে এসেছি!
