শেষ আপডেট: 28th December 2021 12:17
Nostradamus , Baba Vanga দ্য ওয়াল ম্যাগাজিন ব্যুরো: সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই মানবজাতি ছুঁতে চেয়েছে ভবিষ্যতকে। তাই একদিন যাত্রা শুরু হয়েছিলো জ্যোতিষশাস্ত্রের। পৃথিবী দেখেছিল মহর্ষি ভৃগু, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত, প্রিথিয়া, ক্লডিয়াস টলেমি, ড্যানিয়েল হোম, অ্যালান লিও, ইভাঞ্জেলাইন অ্যাডামস, এডগার কেস ও জিন ডিক্সনের মতো ভবিষ্যদ্রষ্টা। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ভবিষ্যদ্রষ্টা হলেন নস্ট্রাদামুস ও বাবা ভাঙ্গা। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের শেষে এই দু'জনকে নিয়ে তোলপাড় হয় বিশ্ব। কারণ হল, তাঁদের করে যাওয়া কিছু হাড়হিম করে দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণী। ২০২২ সালের জন্য করা ভবিষ্যদ্বাণীতে বাবা ভাঙ্গা ভারতের জন্য দিয়ে গিয়েছেন নিদারুণ দুঃসংবাদ। নস্ট্রাদামুস দিয়ে গিয়েছেন ফ্রান্সের জন্য। বুলগেরিয়ার বাবা ভাঙ্গা ১৯১১ সালের ৩১ জানুয়ারি, বুলগেরিয়ায় জন্মেছিলেন ভ্যানগেলিয়া প্যানদেভা গুস্তেরোভা। গোটা বিশ্ব যাঁকে চেনে 'বাবা ভাঙ্গা' নামে। জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, শৈশবে এক প্রবল ঝড় তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলেছিল অনেক দূরে। চোখে আঘাত লেগে দৃষ্টিহীন হয়ে গিয়েছিলেন ভ্যানগেলিয়া। কিন্তু উন্মোচিত হয়েছিল এক অবিশ্বাস্য অন্তর্দৃষ্টি। একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী করে বুলগেরিয়াকে চমকে দিয়েছিলেন 'বাবা ভাঙ্গা'। [caption id="attachment_2415968" align="aligncenter" width="620"] বাবা ভাঙ্গা[/caption] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। সৈনিকদের আত্মীয়স্বজন রোজ বাবা ভাঙ্গার কাছে আসতেন, তাঁদের প্রিয়জন জীবিত না মৃত তা জানতে। আশ্চর্যজনকভাবেই তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণীগুলি মিলে যেত। ভবিষ্যদ্বাণী করে বাবা ভাঙ্গা মিলিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার শাসক স্ট্যালিনের মৃত্যু। রাশিয়ান সাবমেরিনের কার্স্কের ডুবে যাওয়া। ৯/১১ হামলা। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচার। ইন্টারনেটের বিশ্বগ্রাস ও আইসিসের উত্থান-পতন সহ আরও অজস্র বিশ্ব কাঁপানো ঘটনা। আরও পড়ুন:ইনিই সেই সিন্টারক্লাস, বিশ্ব যাঁকে চেনে 'সান্টা ক্লজ' নামে তবে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি নিয়ে কোনও বই লিখে যাননি বাবা ভাঙ্গা। তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণীগুলি লিপিবদ্ধ করেছিলেন সমসাময়িক সাংবাদিকেরা। ১৯৯৬ সালের ১১ আগস্ট প্রয়াত হয়েছিলেন ৮৫ বছরের বাবা ভাঙ্গা। তাঁর একটি ভবিষ্যদ্বাণীর কথা বুলগেরিয়ার মানুষের মুখে মুখে আজও ঘোরে। [caption id="attachment_2415973" align="aligncenter" width="550"] বুলগেরিয়ায় আছে বাবা ভাঙ্গার মূর্তি[/caption] যুগোস্লাভিয়ার বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা সিলভানা আর্মেনুলিচ, বুলগেরিয়া গিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসে। একটি অনুষ্ঠানের শেষে তিনি বাবা ভাঙ্গার কাছে গিয়েছিলেন তাঁর ভবিষ্যত জানার জন্য। সিলভানার সঙ্গে কথা বলতে চাননি বাবা ভাঙ্গা। তিনি বলেছিলেন," আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই না। তিন মাস পরে যদি ফিরে আসো তখন কথা বলব। যদিও আমি জানি, তুমি আর কোনওদিনও বুলগেরিয়ায় আসবে না।" অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সিলভানা, কারণ তিনমাস পরে তাঁকে বুলগেরিয়াতে আসতেই হবে। অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম অর্থও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সিলভানা সত্যিই আর কোনওদিন ফিরে আসেননি বুলগেরিয়ায়। এই ঘটনার মাত্র দু'মাস পর, ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন সিলভানা। [caption id="attachment_2415980" align="aligncenter" width="640"] মাত্র ৩৭ বছরে প্রাণ হারিয়েছিলেন সিলভানা[/caption] এবার আমরা জেনে নেব, ২০২২ সালের জন্য বাবা ভাঙ্গার করে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি। যেগুলি আতঙ্কিত করেছে ভারত ও গোটা বিশ্বকে। বাবা ভাঙ্গার সেই ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী (২০২২) (১) আবার নতুন ভাইরাস বাবা ভাঙ্গা বলে গিয়েছেন, বিশ্ব-উষ্ণায়ণ চরমে উঠবে ২০২২ সালে। গলে যাবে সাইবেরিয়ার হিমবাহ। গলে যাওয়া হিমবাহের নীচে থেকে উঠে আসবে আরও এক প্রাণঘাতী ভাইরাস। যেটি কয়েক লক্ষ বছর ধরে চাপা পড়েছিলো সাইবেরিয়ার হিমবাহের নীচে। সাইবেরিয়া থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাসটি। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাবে সেই ভাইরাসের আক্রমণে। (২) জলকষ্টে ভুগবে পৃথিবী বিশ্ব-উষ্ণায়ণের ফলে ২০২২ সালে সারা পৃথিবী জুড়ে দেখা দেবে ভয়াবহ জলকষ্ট। নদ, নদী ও পুকুরে দেখা দেবে জলাভাব। মাটির অভ্যন্তরে থাকা মিষ্টি জল প্রচুর পরিমাণে তুলে নিতে থাকবে মানুষ। ক্রমশ বাড়বে জলের চাহিদা। আরও গভীর থেকে জল তুলে আনবে মানুষ। দ্রুত ফুরোতে থাকবে মিষ্টি জলের ভাণ্ডার। জলের অভাবে প্রাণ হারাবে গাছপালা, পশুপাখি, কীট পতঙ্গ। (৩) পৃথিবী ছোঁবে অজানা এক মহাকাশযান ২০২২ সালে পৃথিবীর মাটি প্রথম স্পর্শ করবে ভিনগ্রহের এক মহাকাশযান। রহস্যময় এক গ্রহাণু 'ওউমুয়ামুয়া (1I/2017 U1) সম্ভবত সেই মহাকাশযান। যেটি পৃথিবীতে আসবে প্রাণ খুঁজতে। কিছুদিনের মধ্যেই ভিনগ্রহের সেই উন্নত জীবেরা দখল করে নেবে আমাদের পৃথিবী। [caption id="attachment_2415982" align="aligncenter" width="720"] সাংবাদিকদের মুখোমুখি বাবা ভাঙ্গা[/caption] (৪) প্রকৃতির আক্রোশ ২০২২ সালে কিছু চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হবে পৃথিবী। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, দাবানল, ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে নাস্তানাবুদ হয়ে যাবে পৃথিবী। আগুনের মতো গরম হয়ে উঠবে উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল স্ক্যান্ডেনেভিয়া। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হবে আমেরিকা। ইউরোপ দেখবে ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যা। অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে যাবে ভয়ঙ্কর দাবানলে। এই সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারাবে বিশাল সংখ্যক পশুপাখি ও মানুষ। (৫) বাস্তবে নয় কল্পনায় বাঁচবে মানুষ ২০২২ সালে মানুষ বাস করবে কল্পনার অলীক জগতে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও অবাস্তব জিনিসের প্রতি সীমাহীন আকর্ষণ, অলস করে তুলবে মানুষের মস্তিষ্ক। হারিয়ে যাবে মানুষের বিবেক ও নিজস্ব বুদ্ধি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (artificial intelligence) হাতের পুতুল হয়ে যাবে মানুষ। (৬) এক ভয়ানক আক্রমণের সাক্ষী হবে ভারত আকাশ পথে, ২০২২ সালে, ভারতের ওপর শুরু হবে সেই আক্রমণ। ভারতের প্রায় প্রত্যেকটি শস্যক্ষেত্রে থাকা শস্য খেয়ে ফেলবে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করা কোটি কোটি পঙ্গপাল। সেগুলিকে মারা অসম্ভব হয়ে উঠবে ভারতের পক্ষে। খাদ্য শস্যের দাম হবে আকাশ ছোঁয়া। ভারত জুড়ে দেখা দেবে খাদ্যাভাব। যার পরিণতি হিসেবে ভারত দেখবে এক নিদারুণ দুর্ভিক্ষ। রাজধানীর তাপমাত্রা পৌঁছাবে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই সময় প্রকৃতিই মারতে শুরু করবে পঙ্গপালের দলকে। তবে তার আগে যা ক্ষতি করার তা করে দিয়ে যাবে পতঙ্গগুলি। যার ফল ভারতকে ভুগতে হবে আগামী কয়েক দশক ধরে। [caption id="attachment_2415987" align="aligncenter" width="1600"] এভাবেই আক্রমণ করবে পঙ্গপালেরা?[/caption] ফরাসি নস্ট্রাদামুস আতঙ্কে ফেলেছেন ফ্রান্সকেই ১৫০৩ সালে ফ্রান্সের সেন্ট রেমিতে জন্মেছিলেন ফরাসি ভবিষ্যদ্রষ্টা, লেখক, চিকিৎসক নস্ট্রাদামুস। ১৫৫৫ সালে নস্ট্রাদামুস লিখেছিলেন তাঁর দুনিয়া কাঁপানো বই Les Prophéties। চার ও ছ'লাইনের ৬৩৩৮টি অন্তমিলহীন ও সাঙ্কেতিক কবিতার মাধ্যমে তিনি করে গিয়েছিলেন আগামী ৩৭৯৭ বছরের ভবিষ্যদ্বাণী। নস্ট্রাদামুস মিলিয়ে দিয়েছিলেন রাজা দ্বিতীয় হেনরির মৃত্যু, অ্যাডলফ হিটলার ও সাদ্দাম হোসেনের উত্থান ও পতন, উপসাগরীয় যুদ্ধ, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গিহানা, এমনকি করোনা অতিমারী সম্পর্কে করা ভবিষ্যদ্বাণীও। ১৫৬৬ সালের ২ জুলাই, প্রয়াত হয়েছিলেন নস্ট্রাদামুস। মিলিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন নিজের মৃত্যুর দিন, ক্ষণ ও স্থান সম্পর্কে করা ভবিষ্যদ্বাণীও। আমরা এবার জেনে নেব, ২০২২ সালের জন্য নস্ট্রাদামুসের করে যাওয়া চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি। যেগুলি আতঙ্কিত করেছে ফ্রান্স সহ গোটা বিশ্বকে। নস্ট্রাদামুসের সেইসব ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী (২০২২) (১) যুদ্ধের কারণে নামবে শরণার্থীদের ঢেউ সেঞ্চুরিয়া তিনের দশম পদ্যে নস্ট্রাদামুস লিখেছিলেন "রক্ত ও ক্ষুধা গ্রাস করবে। বন্দি হবে সবাই"। নস্ট্রাদামুসের পদ্যগুলির বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুদ্ধের কারণে ২০২২ সালে প্রচুর মানুষকে গৃহহীন হতে হবে। শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে হবে নানা দেশে। (২) মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে জলবায়ু বিশ্ব-উষ্ণায়ণ নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন নস্ট্রাদামুস। তিনি বলেছিলেন, ব্যাবিলোনিয়ার জলবায়ুর বিপরীত জলবায়ু দেখা দেবে ২০২২ সালে। সূর্যের তাপে দগ্ধ হবে পৃথিবী। ঝলসে যাবে কৃষ্ণসাগরের মাছ। রোডস ও জেনোয়ার অনাহার পীড়িত মানুষেরা সেই সব মরা মাছ খেতে বাধ্য হবে। পৃথিবী জুড়ে দেখা দেবে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব। সেই সম্পদের দখলের জন্য হামলা চালানো হবে পার্শ্ববর্তী দেশে। দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে ইউরোপ সহ বিশ্বের নানা দেশে। (৩) ভেঙে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেঞ্চুরিয়া দুইয়ের অষ্টম পদ্যে নস্ট্রাদামুস লিখেছিলেন, "রোমান স্থাপত্যের মন্দিরগুলির ভিত, দুই দিক থেকে টেনে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে ২০২২ সালে।" বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিত ছিল ১৯৫৭ সালে রোমে হওয়া এক চুক্তি। ২০২২ সালে সেই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসবে বহু দেশ। চুরমার হয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেখা দেবে বিশ্বজোড়া মুদ্রাস্ফীতি। (৪) কিম জং উনের মৃত্যু সেঞ্চুরিয়া চারের চতুর্দশ পদ্যে নস্ট্রাদামুস বলে গিয়েছেন, "২০২২ সালে মৃত্যু হবে এশিয়ার এক অত্যাচারী শাসকের। সেই দেশের হাল ধরবেন নতুন কেউ।" বিশ্লেষকদের মতে সেই অত্যাচারী শাসক হলেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। যিনি বর্তমানে নানা কঠিন রোগে জর্জরিত। জনশ্রুতি, তিনি নাকি অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় আছে এই মুহূর্তে। [caption id="attachment_2415997" align="aligncenter" width="615"] অসুস্থ কিম জং উন[/caption] (৫) জাপানে হবে ভয়াবহ ভূমিকম্প সেঞ্চুরিয়ার তিনের তৃতীয় পদ্যে নস্ট্রাদামুস বলেছেন, তাপদগ্ধ এশিয়ার সূর্যোদয়ের দেশটি, ২০২২ সালে দেখবে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্প হবে দুপুরে। তাই প্রাণহানি কম হলেও সম্পত্তির ক্ষতি হবে বিশাল। চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়বে দেশটি। সূর্যোদয়ের দেশ বলতে কিন্তু বিশ্ববাসী এশিয়ার জাপানকেই বোঝেন। (৬) প্যারিসের ওপর হবে ভয়াবহ হামলা সেঞ্চুরিয়া পঞ্চমের ত্রিশতম পদ্যে নস্ট্রাদামুস বলেছিলেন,"২০২২ সালে যোদ্ধারা দখল করে নেবে সংস্কৃতির শহর। বিশ্বের অনান্য অংশের থেকে দীর্ঘকাল বিচ্ছিন্ন থাকবে শহরটি।" বিশ্লেষকদের কথায় এই সংস্কৃতির শহর হল প্যারিস। আর কে না জানে, সন্ত্রাসবাদীদের নতুন নিশানা হল 'ফ্রান্স' এবং সন্ত্রাসবাদীদের চক্ষুশূল ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাকরঁ ও 'শার্লি এবদো' পত্রিকার ঠিকানা হলো প্যারিস। [caption id="attachment_2415998" align="aligncenter" width="976"] ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্যারিসকে রক্তাক্ত করেছিলো এই আইসিস জঙ্গিরা[/caption] মেলেনি অনেক কিছুই, সেটাই ভরসা ২০২২ নিয়ে করা ভবিষ্যদ্বাণীতে, দুজনেই (বাবা ভাঙ্গা ও নস্ট্রাদামুস) উল্লেখ করেছেন বিশ্ব-উষ্ণায়ন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব, দুর্ভিক্ষের কথা। তাহলে কী মিলে যাবে তাঁদের করা ভবিষ্যদ্বাণীগুলি! তবে কি পৃথিবী হয়ে উঠবে আতঙ্কের উপত্যকা! না, এতো আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ দুজনেরই বহু ভবিষ্যবাণীই মেলেনি। নস্ট্রাদামুস বলেছিলেন, গ্রহাণুর আঘাতে ২০২১ সালে ধ্বংস হবে পৃথিবী। সত্যিই ২০২১ সালে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল গ্রহাণু 2021GW4। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল পৃথিবী। ধ্বংস হয়নি। মেলেনি নস্ট্রাদামুসের করা ভবিষ্যদ্বাণী। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। বলেছিলেন দুটো টিম ফাইনালে উঠবে যাদের দেশের নাম শুরু হয়েছে 'B' দিয়ে। কিন্তু ফাইনালে উঠেছিলো ব্রাজিল ও ইতালি। সম্ভাবনা জাগিয়েও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলো 'B' দিয়ে নাম শুরু হওয়া বুলগেরিয়া। তাই সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে, আগামী বছর ভরপুর আনন্দে কাটান, সত্তরের দশকের "No চিন্তা Do ফুর্তি ” বাগধারাটিকে অবলম্বন করে। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'