
রূপাঞ্জন গোস্বামী
তাকে প্রায় পাঁচশো বছর ধরে খুঁজছে পৃথিবী। তোলপাড় করে ফেলেছে গোটা দক্ষিণ আমেরিকা। কারণ হাজার হাজার টন সোনা বুকে লুকিয়ে, দক্ষিণ আমেরিকার অজ্ঞাত কোনও স্থানে, আত্মগোপন করে আছে বিশ্বের সবথেকে সম্পদশালী শহর এল ডোরাডো (El Dorado)। যুক্তিবাদীরা বলেন ‘সাংগ্রিলা‘ বা ‘আটলান্টিস‘-এর মতই কল্পরাজ্যে বিরাজ করে এল ডোরাডো।
কিন্তু মিলটনের লেখা ‘Paradise Lost'(১৬৬৭), ভলতেয়ারের লেখা ‘Candide’ (১৭৫৯), এডগার এলান পো-এর লেখা ‘Eldorado’ (১৮৪৯) হাওয়া যুগিয়েছিল কল্পনার পালে। তবে কল্পনার অভিমুখ বাস্তবের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল ১৯৬৯ সাল ও একটি সোনার ভেলা। সম্প্রতি আবার বিশ্ববাসীর আলোচনায় উঠে এসেছে এল ডোরাডো( El DoraDo)। তার জন্য দায়ী ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ আমাজন অরণ্য ও কিছু জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদের চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার।

খ্রিস্টিয় ষোড়শ শতাব্দী
স্প্যানিশ হানাদারেরা পা রেখেছিল দক্ষিণ আমেরিকায়। স্থানীয় উপজাতিদের যুদ্ধে হারিয়ে দখল করে নিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল এক ভূখণ্ড। লুঠতে শুরু করেছিল পুরো মহাদেশটিকেই। দিয়েগো ডি ওর্ডাজ ছিলেন একজন স্প্যানিশ কমান্ডার। ১৫১৯ সালে যাঁর সেনাবাহিনী যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছিল মেক্সিকোর আজটেকদের। এহেন মানুষটি পারিয়া উপদ্বীপের (বর্তমানে ভেনেজুয়েলায়) গভর্নর হয়ে এসেছিলেন ১৫৩০ সালে। অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে লুঠ করে নিয়েছিলেন স্থানীয় উপজাতিদের সঞ্চিত সম্পদ।
উপজাতিদের কাছ থেকে তিনি শুনেছিলেন, কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে শুয়ে থাকা ওরিনেকো নদীর বাম তীরে, কোনও পাহাড়ের গিরিখাতে লুকিয়ে আছে এক শহর। সেই শহরে সঞ্চিত আছে হাজার হাজার টন সোনা। শহর থেকে অনেক দূরে থাকা এক পবিত্র হ্রদে নাকি সোনা ফেলে দিয়ে আসে শহরবাসীরা।

উত্তেজিত ওর্ডাজ সাহেব, কয়েক হাজার নৌকা ও লোক লস্কর নিয়ে ওরিনোকো নদীর অববাহিকায় চালিয়েছিলেন অভিযান। ১৫৩১ সালের সেই অভিযানে খুঁজে পাওয়া যায়নি সোনার শহর। বরং অজানা রোগ, ক্লান্তি, হিংস্র পশু ও উপজাতিদের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিল প্রচুর স্প্যানিশ। অভিযান থেকে ফিরে আকস্মিকভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ওর্ডাজ সাহেবও। মৃত্যুর কারণ সম্ভবত বিষক্রিয়া। পারিয়ার পরবর্তী গভর্নর জেরোনিমো ডে ওরটাল, ১৫৩২ ও ১৫৩৭ সালে অভিযান চালিয়েছিলেন মেটা নদীর অববাহিকায়। কিন্তু তাঁকেও ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে।
রহস্যেময় হ্রদ ‘গুয়াতাভিতা‘
স্প্যানিশ অভিযাত্রী গঞ্জালো কুইসাডা, প্রায় আটশো জনের একটি দল নিয়ে ১৫৩৬ সালে অভিযান চালিয়েছিলেন কলম্বিয়ার অংশে থাকা আন্দিজ পর্বতমালার আলপ্লাটিনো মালভূমিতে। যেখানে বাস করত মুইসকা উপজাতি। দক্ষিণ আমেরিকার চারটি বিখ্যাত উপজাতির একটি হল মুইসকা বা চিবচা। বাকি তিনটি হল আজটেক, মায়া ও ইনকা।
১৫৩৭ সালের জুন মাসে আন্দিজের ওপর কুইসাডা খুঁজে পেয়েছিলেন বৃত্তাকার এক হ্রদ। বোগোটা থেকে দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। হ্রদটির নাম ‘গুয়াতাভিতা‘। এই হ্রদে নাকি মুইসকারা সোনা ও অনান্য দামি রত্ন নিক্ষেপ করত।দেবতাদের তুষ্ট করার জন্য। হ্রদের কিনারার জল থেকে কুইসাডা খুঁজে পেয়েছিলেন প্রচুর সোনার অলঙ্কার ও মূর্তি। দাবানলের মত খবরটি ছড়িয়ে পড়েছিল লাতিন আমেরিকার কোণে কোণে। সোনার খোঁজে হানা দিয়েছিল ব্রিটিশ, ফরাসি, পর্তুগিজরাও। হ্রদের জল কিছুটা বের করে দিয়ে, তুলে নেওয়া হয়েছিল লক্ষ লক্ষ ডলারের সোনা। সেই সোনা নিয়ে শুরু হয়েছিল লড়াই। প্রাণ হারিয়েছিল কয়েক’শ মানুষ।

জিপার অভিষেক
স্প্যানিশ লেখক জুয়ান রড্রিগেজ ফ্রেইল, ১৫৩৮ সালে লিখেছিলেন ‘এল কার্নেরো’ নামে একটি উপাখ্যান। সেই উপাখ্যানে লেখা হয়েছিল, মুইসকাদের এক বিস্ময়কর প্রথার কথা। যেটি লেখক শুনেছিলেন মুইসকাদের কাছ থেকেই। তিনি জেনেছিলেন, মুইসকাদের নতুন রাজার অভিষেক হত লেক গুয়াতাভিতাতেই।
অভিষেকের আগে হবু রাজাকে পাহাড়ের এক পবিত্র গুহায় কাটাতে হত বেশ কয়েক মাস। একেবারে একা। গুহা থেকে বের হওয়ার অনুমতি ছিল না। লবণ ও মরিচ ছাড়া খাবার খেয়ে থাকতে হত অন্ধকার গুহায়। নির্দিষ্ট রাতে, আকাশের বুকে তিনটি পবিত্র নক্ষত্র দেখা দিলে, শুরু হত অভিষেকের তোড়জোড়।
পরদিন ভোরে গুহা থেকে বেরিয়ে আসতেন মুইসকাদের হবু রাজা। উপস্থিত হাজার হাজার প্রজার সামনে নগ্ন হতেন মানুষটি। মুইসকা পুরোহিতেরা হবু রাজার শরীরে লাগিয়ে দিতেন রজনের প্রলেপ। তারপর রজন মাখা শরীর ঢেকে দেওয়া হত সোনার গুঁড়ো দিয়ে। এরপর সোনার পালকিতে বসা সোনালি মানুষটিকে নিয়ে শোভাযাত্রা পৌঁছে যেত, মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে সৃষ্টি হওয়া গুয়াতাভিতা হ্রদে।

হ্রদটিকে ঘিরে ফেলত হাজার হাজার মুইসকা। তাদের হাতে থাকত খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি দেবতার মূর্তি ‘টুনজো’। হ্রদের তীরে রাখা থাকত সুসজ্জিত ও ধনরত্নে ঠাসা একটি ভেলা। সেই ভেলায় উঠতেন সোনালি মানুষটি। ঠেলে দেওয়া হত ভেলা। ভাসতে ভাসতে ভেলা চলে যেত হ্রদের মাঝখানে। ভেলায় থাকা সোনা ও অনান্য ধনরত্ন হ্রদের জলে ফেলে সোনালি মানুষটি ঝাঁপিয়ে পড়তেন হ্রদের জলে।
ঠিক এই সেই মুহূর্তে হ্রদের কিনারায় থাকা হাজার হাজার মুইসকা হ্রদের জলে নিক্ষেপ করত তাদের হাতে থাকা সোনার মূর্তি। একসময় হ্রদ থেকে উঠে আসতেন মুইসকাদের সর্বশক্তিমান রাজা ‘জিপা’। হ্রদের জলে মিশে যেত তাঁর গায়ে লেগে থাকা সোনার গুঁড়ো। ‘জিপা’কে নিয়ে সোনার পালকি এগিয়ে যেত অজ্ঞাত এক শহরের দিকে।

জন্ম নিল ‘এল ডোরাডো’ (EL DORADO)
মুইসকা রাজার কাহিনিটি ছড়িয়ে পড়েছিল স্প্যানিশদের মধ্যে। সোনার গুঁড়ো মেখে সোনালি হয়ে যাওয়া ‘জিপা’ স্প্যানিশদের কাছে হয়ে গিয়েছিলেন ‘এল হোমব্রে ডোরাডো’ (The Golden Man) বা ‘এল রেই ডোরাডো’ (The Golden King)। সংক্ষেপে ‘এল ডোরাডো‘। পরবর্তীকালে যে শব্দ দুটি সারা বিশ্বের স্বর্ণ-সন্ধানীদের মনে তুলেছিল তুফান।
তাদের মনকে তোলপাড় করছিল কিছু প্রশ্ন। জিপাকে নিয়ে কোথায় ফিরে যেত মুইসকারা? অবলীলায় যে জাতি হ্রদের জলে বিসর্জন দিতে পারে এত সোনা, তাহলে তাদের শহরে আছে কত সোনা? কোথায় সেই সোনার শহর ‘এল ডোরাডো’। হ্যাঁ, সোনালি মানুষটির মত, অজ্ঞাত শহরটির নামও হয়ে গিয়েছিল ‘এল ডোরাডো‘।
এরপর প্রায় চারশো বছর ধরে গায়ানা, প্যারাগুয়ে, চিলি, কলম্বিয়া, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ব্রাজিলের বিভিন্ন এলাকার চলেছিল স্বর্ণ-সন্ধানীদের অভিযান। কিন্তু ধরা দেয়নি ‘এল ডোরাডো’।

পালে হাওয়া দিল এল ডোরাডো ‘র্যাফট’
কলম্বিয়ার লাজারো ফন্টে গ্রামের তিন কৃষক ১৯৬৫ সালে পাহাড়ের এক গুহায় পেয়েছিলেন চিনামাটির একটি পাত্র। যেটির ভেতরে ছিল খেলনার মত দেখতে সোনালি এক ভেলা। খেলনাটি নিয়ে কৃষকরা ছুটেছিলেন গ্রামের যাজকের কাছে। সময় নষ্ট না করে যাজক ভেলাটি দিয়ে এসেছিলেন বোগোটার হিস্টোরিক সেন্টারের গোল্ড মিউজিয়ামে।
বেশ কিছুদিন গবেষণা করার পর মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোনার ভেলাটি তৈরি করা হয়েছিল মুইসকাদের রাজত্বে (৬০০-১৬০০ খিস্টাব্দ)। ১৯.৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, প্রস্থে ১০.১ সেন্টিমিটার এবং ২৮৭ গ্রাম ওজনের সোনার ভেলাটির ওপরে বসানো ছিল জিপা ও তাঁর ছয় দেহরক্ষীর মূর্তি। জিপার মাথায় শিরোস্ত্রাণ, নাকে নথ, কানে দুল। সাড়া জাগানো এই আবিষ্কার প্রমাণ করেছিল, জিপার অভিষেকের কাহিনিটির সত্যতা। ঝড় তুলেছিল বিশ্বের সংবাদপত্রগুলি, তাহলে কি এখনও লাতিন আমেরিকার কোনও দুর্গম স্থানে ঘাপটি মেরে আছে সোনার শহর এল ডোরাডো?

স্বর্ণ-সন্ধানীরা হানা দিয়েছিল আমাজন অরণ্যেও (Amazon Rainforest)
পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী আমাজন। ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, ফরাসি গায়ানা, গায়ানা ও সুরিনামের বুক চিরে নদীটি পাড়ি দিয়েছে ৬৯৯২ কিলোমিটার পথ। ১৬৯০ সালে আমাজন নদীর অববাহিকায় পাওয়া গিয়েছিল প্রচুর সোনা। তাই আমাজন অরণ্যে স্বর্ণ-সন্ধানীরা চালিয়েছিল এল ডোরাডোর খোঁজ।
কিন্ত বিপদসংকুল আমাজন অরণ্যে বাস করা উপজাতিদের বিষ মাখা তির, জাগুয়ার ও আনাকোন্ডার হিংস্র আক্রমণে অকালে ঝরে গিয়েছিল শত শত স্বর্ণ-সন্ধানীর প্রাণ। বাধ্য হয়ে এল ডোরাডোর সোনার স্বপ্ন আমাজন অরণ্যে ফেলে রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছিল বেঁচে যাওয়া স্বর্ণ-সন্ধানীরা।

অবশেষে পাওয়া গেল এল ডোরাডো?
কিছু ইউরোপীয় গবেষক, ২০০০ সালের শুরুতে অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন ব্রাজিলের অংশে থাকা আমাজনে। খুঁজে পেয়েছিলেন কিছু প্রাচীন ইমারতের ধ্বংসাবশেষ। ‘এল ডোরাডো’ সন্দেহে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সোনা মাফিয়ার দল। কিন্তু মেলেনি এক কণা সোনাও। স্বর্ণ-সন্ধানীদের দৃষ্টি যখন ব্রাজিলের অংশে থাকা আমাজন অরণ্যে, ঠিক তখনই বলিভিয়ার অংশে থাকা আমাজন অরণ্যে পা রেখেছিলেন কিছু জার্মান গবেষক।
গবেষক দলটির নেতা ছিলেন জার্মান আর্কিওলজিকাল ইন্সটিটিউটের গবেষক হেইকো প্রুমার। দলটি বছরের পর বছর ধরে বলিভিয়ার আমাজনে চালিয়েছিল অভিযান। আমাজন অরণ্যের মাত্র ৭.৭ শতাংশ অংশ আছে বলিভিয়াতে। আমাজনের এই অংশে বাইরের মানুষের পা পড়েনি বললেই চলে। আমাজনের গভীরে জার্মান দলটি খুঁজে পেয়েছিল প্রায় পনেরোটি ইমারতের ধ্বংসাবশেষ। আবিষ্কারটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি কেউ। তবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন জার্মান গবেষকেরা।
বলিভিয়ান আমাজনের এক সাভানা তৃণভূমি ওপর, কয়েক বছর আগে উড়তে শুরু করেছিল একটি হেলিকপ্টার ও বেশ কিছু ড্রোন। প্রায় সাড়ে ছশো ফুট ওপর থেকে অরণ্যের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল পনেরো লক্ষ লেসার পালস। প্রতিফলিত হয়ে আসা লেসার পালসগুলি কম্পিউটরের মনিটরে এঁকে ছিল কয়েক হাজার ত্রিমাত্রিক ছবি। প্রযুক্তিটির নাম ‘Lidar’ (light detection and ranging)।
ছবিগুলি পাশাপাশি সাজাতে গিয়ে চমকে উঠেছিলেন গবেষকেরা। নীরবে চালিয়েছিলেন আরও গভীর গবেষণা। সম্প্রতি শেষ হয়েছে প্রাথমিক গবেষণার কাজ। সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। আর তাতেই আলোড়িত গোটা বিশ্ব। গবেষকেরা জানিয়েছেন, বলিভিয়ান আমাজনের ‘লানোস ডি মোজোস’ এলাকার মাটির নিচে তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন হারিয়ে যাওয়া এক শহর। খুব কম করে হলেও শহরটির বয়স সাতশো থেকে আটশো বছর। হয়ত আরও বেশিও হতে পারে।

প্রায় ছাব্বিশটি সুবিশাল জনপদ নিয়ে তৈরি হয়েছিল উন্নত এই শহরটি। কাদামাটির ইঁটে গড়া শহরে ছিল অসংখ্য পিরামিড, সৌধ ও প্রাসাদ। যুগের তুলনায় আধুনিক জলাধার, পয়ঃপ্রণালী ও সড়ক দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন গবেষকেরা। এমনকি জলসেচের জন্য কাটা হয়েছিল কয়েকশো কিলোমিটারের খালও।
গবেষকদের অনুমান, লাতিন আমেরিকার অন্যতম সম্পদশালী এই শহরে একসময় বাস করত প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ। যারা আমাজনের বুকে প্রথম গড়ে তুলেছিল আধুনিক সভ্যতা। দীর্ঘকাল ধরে প্রাচুর্যের শিখরে থেকে সভ্যতাটি আকস্মিকভাবেই হারিয়ে গিয়েছিল কোনও অজানা রোগ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে। শত শত বছর ধরে বন্যার জলের বয়ে আনা পলি, একসময় লুকিয়ে ফেলেছিল জনমানবহীন শহরটিকে।
এখনও চলছে গবেষণা। তাই এখনই এর বেশি জানাতে রাজি নন গবেষকেরা। তবে এটুকু জানার পরই ঘুম উড়ে গেছে বেশ কিছু মানুষের। তারা নিশ্চিত, সাভানা তৃণভূমির নিচে ঘুমিয়ে থাকা শহরটিই ‘এল ডোরাডো’। তাই তাল তাল সোনার স্বপ্নে বিভোর হয়ে, ঝোপ ঝাড় সাফ করার অছিলায় এলাকায় ঢুকে পড়ছে মাফিয়াদের বুলডোজার।
গবেষকদের অনুমান, আবার রক্ত ঝরাবে ‘এল ডোরাডো’ শব্দ দুটি। বুলডোজারের নির্মম আঘাতে গুঁড়িয়ে যাবে লাতিন আমেরিকার এক অজানা ইতিহাস। যে ইতিহাস হয়ত কোটি কোটি টন সোনার থেকেও দামী। তাই গবেষকেরা নামতে চলেছেন এক অসম যুদ্ধে। যে যুদ্ধের ফলাফল জানার জন্যেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে আমাজন। হয়ত এল ডোরাডোও।

আরও পড়ুন: কে এই দুঃসাহসী অভিযাত্রী, যাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছিল ‘টারজান’