Latest News

লুকিয়ে আছে এক হাড়হিম করা রহস্য, ‘কঙ্কাল হ্রদ’ রূপকুণ্ডের বুকে

হ্রদের জলের নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শয়ে শয়ে নরকঙ্কাল, নরকরোটি ও হাড়গোড়।

রূপাঞ্জন গোস্বামী

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার প্রত্যন্ত প্রান্তে থাকা ত্রিশুল (৭১২০ মি) ও নন্দাঘুটি (৬৩১০ মি) বেসক্যাম্পের কাছেই, হিমালয়ের কোলে লুকিয়ে আছে আছে দুই মিটার গভীর এক রহস্যময় হ্রদ রূপকুণ্ড। হ্রদটির উত্তরে আছে  জুনারগলি কল। ৪০০ মিটার চড়াই ডিঙিয়ে পথ চলেছে হোমকুণ্ড হয়ে রন্টি স্যাডলের দিকে। রূপকুণ্ডের পূর্বে আছে চন্দনিয়া কোট।

রূপকুণ্ড তার বুকে হাজার বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছে এক রহস্য। আপাত দৃষ্টিতে সৌন্দর্যবিহীন হয়েও বিশ্বের বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও অভিযাত্রীদের কাছে আজও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু  রূপকুণ্ড।

রূপকুণ্ড

মহাদেব তৈরি করেছিলেন রূপকুণ্ড

উত্তরাখণ্ডের লোকগাথা তাই বলে। বহুকাল আগে বর্তমান উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার নৌটি গ্রামে বাস করতেন নন্দাদেবী। তাঁর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল স্বয়ং মহাদেবের। রীতি অনুযায়ী তাঁকে স্বামীর বাড়ি হোমকুণ্ড যেতে হয়েছিল। শোভাযাত্রা সহকারে নন্দাদেবীকে যখন তাঁর স্বামীর কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন হঠাৎ নন্দাদেবীর তৃষ্ণা পায়। ত্রিসীমানায় কোনও জলের উৎস ছিল না। তৃষ্ণার্ত নন্দাদেবী তখন মহাদেবকে স্মরণ করেন।

দৈববলে মহাদেব তাঁর তৃষ্ণার্ত স্ত্রীর জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন এক ছোট্ট হ্রদ বেদিনি কুণ্ড। নন্দাদেবী ও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা সবাই বেদিনি কুণ্ডের জল পান করেছিলেন। এরপর আবার এগিয়ে চলেছিল শোভাযাত্রা। স্ত্রীর আবার জল পিপাসা পেতে পারে ভেবে মহাদেব যাত্রাপথে তৈরি করে দিয়েছিলেন আরেকটি হ্রদ। এটিই হল রূপকুণ্ড।

বেদিনি কুণ্ড, এর জলই নাকি পান করেছিলেন নন্দাদেবী

যেভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল রূপকুণ্ড

১৯৪২ সালের গ্রীষ্মকাল,হিমবাহের বরফ সেবার একটু বেশিই গলে গিয়েছিল। ব্রিটিশ ভারতের ফরেস্ট অফিসার হরি কৃষণ মাধওয়াল ও তাঁর দল, ১৬৪৭০ ফুট উচ্চতায় আবিষ্কার করেছিলেন হিমবাহের জলে পুষ্ট একটি হ্রদ। টলটলে স্বচ্ছ জলের নীচে থাকা পাথুরে ভূমি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল।

কাছে গিয়ে চমকে উঠেছিলেন মাধওয়াল। জলের নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শয়ে শয়ে নরকঙ্কাল, নরকরোটি ও হাড়গোড়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাঠের কারুশিল্প, লোহার তৈরি বল্লমের ডগা, চামড়ার চটি ও ধাতব রিং সহ আরও অনেক কিছু।

গ্রীষ্মকালে রূপকুণ্ড

বিস্মিত ও কিছুটা আতঙ্কিত মাধওয়াল সাহেব বিশদভাবে সব লিখে  পাঠিয়েছিলেন তাঁর উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে। মাধওয়ালের পাঠানো রিপোর্ট পড়ে ব্রিটিশরা অনুমান করেছিল ওই কঙ্কালগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনাদের হতে পারে। জাপানি সেনারা সম্ভবত জুনারগলি গিরিপথ দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল। প্রবল তুষারঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণ হারায়।

এই তত্ত্ব  মানেননি অনেকে

কারণ, হ্রদের জলে পড়ে থাকা কঙ্কালগুলি দেখে মনে হচ্ছিল সেগুলি শত শত বছরের পুরানো। কিন্তু কঙ্কালগুলি কাদের? সেগুলে হ্রদের জলে এলই বা কীভাবে?  ১৯৫৬ সালে সেটা জানার প্রথম চেষ্টা চালায়  হায়দরাবাদের Center for Cellular and Molecular Biology নামক সংস্থাটি। ডিএনএ টেস্টের জন্য বিজ্ঞানীরা কঙ্কালগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন।

পরীক্ষা থেকে জানা যায় কঙ্কালগুলি দুটি ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষদের। বড় কঙ্কালগুলি দীর্ঘদেহী ইরানীয় মানুষদের এবং ছোট কঙ্কালগুলি সম্ভবত স্থানীয় মানুষদের। তখন প্রশ্ন উঠেছিল, কেন ইরানিরা ওই পথ দিয়ে ভারতে আসবেন? স্থানীয়রা কি তাঁদের আসতে সাহায্য করেছিলেন? ইরানিদের ভারতে আসার কারণই বা কী ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

এসব কাদের দেহাবশেষ?

তবে আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ওয়াল কুমায়ুনের বিভিন্ন লোকগাথার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল রহস্যময় রূপকুণ্ড। রূপকুণ্ডের বরফে জমে যাওয়া মানুষগুলি কারা, তা বলে দিয়েছিল চামৌলির লোকগান ও লোকগাথা। তবে বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে লোকগাথার দেওয়া তথ্যের কোনও মিল ছিল না। থাকার কথাও নয়। কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা সেগুলিই বিশ্বাস করেছিল।

লোকগাথা, লোকগানগুলি পরবর্তীকালে বিভিন্ন এলাকায় পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত হলেও সব কাহিনির অন্যতম চরিত্র হয়ে আছেন কনৌজ রাজ যশদয়াল সিং।

রাজা যশদয়াল সিং ও রানি বালামপার উপাখ্যান

কয়েকশো বছর আগের কথা। রাজপুরোহিতের নির্দেশ অনুসারে ত্রিশুলী তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছিলেন কনৌজ রাজ যশদয়াল সিং ও তাঁর সন্তানসম্ভবা রানি বালামপা। সঙ্গে ছিল বিরাট একটি দল। দলে ছিলেন মন্ত্রী, সান্ত্রী, পাচক,পরিচারক, মালবাহক, ডুলিবাহক, এমনকি রাজনর্তকীরাও।

রূপকুণ্ড ট্রেক রুটে আজ যেখানে পাথর নাচুনি নামে এলাকাটি আছে, সেখানেই থেমেছিল দলটি। ডুলি থেকে নেমেছিলেন রাজা আর রানি। পথশ্রমে ক্লান্ত রাজার ইচ্ছে হয়েছিল আমোদপ্রমোদের। রাজার তাঁবুতে নাচ ও গান শুরু করেছিলেন রাজনর্তকীরা।

তীর্থযাত্রায় এ হেন অধর্ম মেনে নিতে পারেননি নন্দাদেবী। তাঁর অভিশাপে নৃত্যরত অবস্থায় পাথর হয়ে গিয়েছিলেন রাজনর্তকীরা। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয়ে যায় পাথর নাচুনি। আজও সেখানে গেলে কিছু অদ্ভুত আকৃতির পাথর দেখতে পাওয়া পাবেন। সেগুলিই নাকি সেই অভিশপ্ত নর্তকীদের প্রস্তরীভূত রূপ।

পাথরনাচুনির সেই পাথরগুলি

নন্দাদেবীর রুদ্ররূপে ভীত রাজা ও রানি  ক্ষমা চেয়েছিলেন দেবীর কাছে। শান্ত হয়েছিলেন নন্দাদেবী। ক্ষমা করেছিলেন রাজাকে। প্রতি ১২ বছরে একবার তীর্থ যাত্রা করার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন রাজাকে। রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন কনৌজ রাজ যশদয়াল সিং, তীর্থযাত্রা অসমাপ্ত রেখে।

কিন্তু কয়েক বছর পর নন্দাদেবীর আদেশকে অমান্য করে রাজা আবার গিয়েছিলেন হোমকুণ্ডের পথে। সে বছরও সঙ্গে ছিলেন রানি ও কয়েকজন নর্তকী। রূপকুণ্ড পেরিয়ে দলটি যখন জুনারগলির ওপরে, ঠিক সেই মুহূর্তে নন্দাদেবীর অভিশাপে শুরু হয় প্রবল শিলাবৃষ্টি। একই সঙ্গে ফণা তোলে প্রবল তুষারঝড়।

ঝড়ের ঝাপটায় অসহায়ভাবে তীর্থযাত্রীরা একে একে জুনারগলি থেকে রূপকুণ্ডের বুকে আছড়ে পড়েছিলেন। জীবন্ত অবস্থায় তুষার সমাধি ঘটেছিল রাজা রানি সহ সম্পূর্ণ দলটির। গাড়ওয়াল, কুমায়ুনের লোকবিশ্বাস অনুসারে, রূপকুণ্ডের কঙ্কালগুলি কনৌজ রাজের দলটির সদস্য সদস্যাদের।

জুনারগলি কল থেকে নীচে দেখা যাচ্ছে রূপকুণ্ড

কঙ্কালগুলি কাদের, তা নিয়ে উঠেছে নানান তত্ত্ব, মেলেনি কোনও প্রমাণ

● ব্রিটিশদের বলে যাওয়া ‘জাপানি সেনা’ তত্ত্ব প্রথমেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। কারণ হ্রদের জলে কোনও আধুনিক অস্ত্র পাওয়া যায়নি। অস্ত্র বলতে পাওয়া গিয়েছিল বল্লমের ফলা। বল্লম দিয়ে জাপানি সেনারা নিশ্চয়ই বিশ্বযুদ্ধ লড়েনি।
● অনেকের মতে কঙ্কালগুলি কোনও হতভাগ্য তীর্থযাত্রী দলের। চামোলির মানুষরা প্রতি ১২ বছর অন্তর অন্তর নন্দা জাত বা নন্দা রাজ জাত নামে এক তীর্থযাত্রায় যান। নন্দাদেবীর নিজের গ্রাম নৌটি থেকে যাত্রা শুরু করে তীর্থ যাত্রীরা রূপকুন্ড হোমকুণ্ড হয়ে পৌঁছান ভগবতী গ্রামে।

চলেছে নন্দাজাত

এই তত্ত্বটিও খারিজ করলেন অনেকে। তাঁরা বললেন, নন্দা জাত-এ মহিলাদের যাওয়া নিষেধ। কিন্তু রূপকুণ্ডে মিলেছে বেশ কিছু মহিলার কঙ্কাল। তাছাড়া কুণ্ডের জলে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে যা যা থাকার কথা সে সব কিছুই পাওয়া যায়নি।

● কেউ বলেছেন এঁরা হতে পারেন ব্যবসায়ীর দল। যাঁরা তিব্বত থেকে পণ্য নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তখনকার দিনে পশুর পিঠে করে ভিনদেশ থেকে পাহাড়ি গিরিপথ ধরে বিক্রয়যোগ্য পণ্য আসত ভারতে। হ্রদের জলে থাকা মানুষের কঙ্কালের সঙ্গে কোনও জন্তুর কঙ্কাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এই কঙ্কালগুলি ভিনদেশী ব্যবসায়ীদেরও নয়। তাছাড়া এই পথে ব্যবসায়ীদের আসা যাওয়া ছিল বলে কোনও রেকর্ড নেই।

সুদূর অতীতে এভাবেই পশুর পিঠে পণ্য আসত ভারতে

● কারও মতে ওই অঞ্চলে ‘কিদা জড়ি’ নামে ওষুধের ক্ষমতা যুক্ত মাশরুম খুঁজতে গিয়ে শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েছিলেন কোনও দল। যুক্তিবাদীরা বলছেন, কিন্তু প্রায় তিনশ মানুষ একসঙ্গে মাশরুম খুঁজতে যাবেন?
● কেউ বলেছেন হত্যভাগ্য মানুষগুলি হয়তো নরবলীর মতো ধর্মীয় কোনও ভয়ঙ্কর উৎসর্গ প্রথার শিকার। যুক্তিবাদীরা বলছেন তা হলেও সেটাও ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকার কথা ছিল।

●কেউ বলেছেন কঙ্কালগুলি ফিরোজ শাহ তুঘলকের হারিয়ে যাওয়া সৈন্যদলের। কিন্তু এই যুক্তির সপক্ষে মেলেনি কোনও প্রমাণ।

● কেউ বলেন কঙ্কালগুলি ডোগরাদের সেনাধক্ষ্য জোরাওয়ার সিং ও তাঁর সৈন্যদলের। ১৮৪১ সালের মে মাস থেকে ১৮৪২ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত চলেছিল  ডোগরা- তিব্বতিদের মধ্যে যুদ্ধ। জোরাওয়ার সিং-এর তত্ত্ব খারিজ হয়ে গিয়েছিল, কারণ  ইতিহাস বলছে তিব্বতিদের সঙ্গে মিসসারের যুদ্ধে তিনি প্রাণ হারান। এই পথে তাঁর আসার কোনও সম্ভবনাই ছিল না।।

রহস্য সন্ধানে নেমেছেন বিজ্ঞানীরাও

●২০০৪ সালে একদল বিজ্ঞানী আবার রূপকুণ্ডে বৈজ্ঞানিক অভিযান চালান। তাঁরাও  বলেছিলেন হ্রদে কঙ্কালগুলি দুটি পৃথক জনগোষ্ঠীর। হ্রদের পড়ে থাকা কিছু কঙ্কালগুলি খ্রিষ্টীয় নবম শতাব্দীর। লম্বা কঙ্কালগুলির সঙ্গে ইরানিয়দের নয় বরং অস্বাভাবিক মিল আছে মহারাষ্ট্রের চিতপাভান ব্রাহ্মণদের সঙ্গে।

সেই গবেষণা থেকে উঠে এসেছিল আরেকটি  ভয়ঙ্কর তথ্য। প্রত্যেকটি কঙ্কালের মাথা ও কাঁধের হাড়ে একই ধরনের ক্ষত ছিল। ৯ ইঞ্চি ব্যাসের কোনও গোলাকার পদার্থ একই ভাবে আঘাত করেছিল হতভাগ্য মানুষগুলিকে।

বিজ্ঞানীরা করেছেন বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা

বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টির কারণে মানুষগুলির মৃত্যু হয়েছে। শিলাগুলির আকৃতি ছিল ক্রিকেট বলের মতোই। কিন্তু এই দলের বিজ্ঞানীরাও বলতে পারেননি মানুষগুলি কারা? ওই উচ্চতায় কী জন্য এসেছিলেন?

●অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির Radiocarbon Accelerator Unit কঙ্কালগুলির রেডিও কার্বন ডেটিং করে জানতে পেরেছিল সেগুলি ৮২০ থেকে ৮৮০ বছর পুরোনো।

●কোনও বিজ্ঞানী দল বলেছেন কিছু কঙ্কাল ১২০০ বছরের পুরোনো। কিছু কঙ্কালের বয়েস মাত্র ২০০ বছর। তাই এটা প্রমাণিত, দুটি দল প্রায় ১০০০ বছরের ব্যবধানে রূপকুণ্ডের পথে একই রকম দুর্ঘটনায় পড়েছিল ।

● ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে, ভারতীয়, আমেরিকান ও ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের নিয়ে গড়া একটি আন্তর্জাতিক দল ৩৮ টি কঙ্কালের Biomolecular analyses বা Genome-wide DNA study  রিপোর্ট নেচার কমিউনিকেশনস  জার্নালে প্রকাশ করেন। উঠে আসে চমকে দেওয়ার মত তথ্য।

কঙ্কালগুলির জিনোম স্টাডিও করা হয়েছে

কঙ্কালগুলির জিনোম স্টাডি থেকে জানা গেছে, ১২০০ বছরের পুরোনো কঙ্কালগুলির বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের  এবং ২০০ বছরের পুরোনো কঙ্কালগুলির সঙ্গে মিল আছে পূর্ব ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের মানুষদের। পূর্ব ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলি হল সাইপ্রাস, গ্রীস, লেবানন, সিরিয়া, ইজরায়েল,প্যালেস্টাইন,তুরস্ক, মিশর, লিবিয়া ও জর্ডন। কিন্তু এখন উঠছে প্রশ্ন অত দূর থেকে মানুষগুলি ভারতে আসতে বা যেতে এই কঠিন পথ বেছে নিয়েছিলেন কেন?

সব শেষে এটা পরিষ্কার, এত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেও রূপকুণ্ডের কঙ্কাল রহস্যের সমাধান করা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীদের নেওয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে দেখা গেছে বিস্তর ফারাক। আজও জানা যায়নি ওরা কারা। আজও সেটা অনুমান হয়েই রয়ে গেছে। কঙ্কালগুলিকে ঘিরে থাকা সব প্রশ্নের উত্তর জানে রূপকুণ্ড ও জুনারগুলি কল।

কিন্তু তারা ভাষাহীন। তাই কয়েকশ হতভাগ্যের মৃত্যু স্বচক্ষে দেখেও চুপ করে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। তাই রূপকুণ্ড রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাই কঙ্কালগুলিকে ঘিরে থাকা ঘন কুয়াশা সামান্য ফিকে হলেও, একেবারে সরানো হয়ত আর কোনওদিনই সম্ভব হবে না।

You might also like