শেষ আপডেট: 9th March 2024 22:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী সপ্তাহে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কথা ছিল। তার আগে শনিবার নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অরুণ গোয়েল ইস্তফা দেওয়ায় বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তিন জন নির্বাচন কমিশনার থাকেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং আরও দুই কমিশনার। এমনিতে এক জন কমিশনারের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। তার উপর ভোট ঘোষণার মুখে ইস্তফা দিলেন অরুণ গোয়েল। এত বড় দেশে কেবলমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ভোট ঘোষণা কি আদৌ সম্ভব?
প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এন গোপালস্বামী দ্য ওয়াল'কে চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে টেলিফোনে বলেন, বর্তমান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার চাইলে একাই লোকসভা ভোট পরিচালনা করতে পারেন। তিনি সেই পথে হাঁটবেন কিনা সেটা তারঁ সিদ্ধান্ত। আইনে কোনও বাধা নেই। কমিশন ৩ সদস্যের হলেও একজন থাকলেই তা কার্যকর বলে ধরা হয়ে থাকে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার উদ্দেশেই তিন জন নির্বাচন কমিশনার রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। যাতে কোনও ব্যাপারে সমষ্টিগত বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ফলে সন্দেহাতীত ভাবেই চব্বিশের ভোটের আগে নয়া সংকট তৈরি হল।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে ইতিমধ্যে আইন বদল করেছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগে নিয়ম ছিল, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশনার বেছে নেবে। কিন্তু সরকার আইন সংশোধন করে নিয়ম করেছে যে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে একটি সিলেকশন কমিটি তৈরি হবে। ওই কমিটি যাঁদের নাম সুপারিশ করবে তাঁদের মধ্যে থেকে নির্বাচন কমিশনার বেছে নেবে একটি কমিটি। সেই কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। আর সদস্য থাকবেন সরকারের আর এক জন মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। সেক্ষেত্রে সরকারের মতই যে প্রাধান্য পাবে তা নিয়ে সংশয় নেই।
শনিবার অরুণ গোয়েলের ইস্তফার পর বিরোধীরা এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে যে বিজেপি কি এবার তাঁদের পেটোয়া অফিসার বসাবে নির্বাচন কমিশনে। সেই ভোট কতটা নিরপেক্ষ হবে?
শুধু তাই নয়, উদ্বেগের আরও বিষয় হল, এখন কত দ্রুত কমিটির বৈঠক ডেকে নতুন নির্বাচন কমিশনার বাছতে পারবে সরকার। তাতে ভোট পিছিয়ে যাবে না তো!