শেষ আপডেট: 17 March 2024 05:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর পরই বলবৎ হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রচারের ক্ষেত্রে এই নির্বাচনী বিধি বা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট মেনে চলতে হবে। শনিবার বিকাল থেকেই গোটা দেশজুড়ে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গেছে। দেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্যই এই বিধি কার্যকর করা হয়। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিধি মেনে চলতে হয়। কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন।
১৯৬০ সালে কেরল বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়েছিল। ১৯৬২ সালে প্রথম নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই আদর্শ নির্বাচনী বিধি ঘোষণা করে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন ভোটের আগে একাধিক নিয়ম বেঁধে দেয় যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয় রাজনৈতিক দলগুলিকে। সেই নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট অথবা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে যায়। শনিবার দুপুর ৩টে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই লাগু হয়েছে লোকসভা ভোটের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। যতদিন না নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই বিধি বলবৎ থাকবে। গোটা দেশজুড়েই কার্যকর থাকবে এই বিধি।
নিয়ম লাগু হচ্ছে কাদের উপর?
লোকসভা ভোটপর্বে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতা থেকে শাসকদল ও সরকারকে নির্দিষ্ট আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
আদর্শ নির্বাচন বিধি সাধারণ মানুষের উপরেও লাগু করা হতে পারে। কোনও ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক দলের হয় প্রচার করেন তবে তাঁকেও এই বিধি মেনে চলতে হবে।
নির্বাচনী আচরণ বিধিতে কী কী নিয়ম মানতেই হবে?
১) নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলে প্রার্থীরা কোনও আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন না।
২) সরকার কোনও প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে না, কোথাও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা শিলান্যাস করা যাবে না।
৩) পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও সরকারি প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না জনপ্রতিনিধিরা।
৪) কোনও প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দও করতে পারবে না সরকার।
৫) অ্যাম্বুল্যান্স, জলের-ট্যাঙ্ক সহ অন্যান্য সমস্ত সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী গাড়িগুলিতে সাংসদের নাম সরিয়ে ফেলতে হবে।
৬) সরকারি সংবাদমাধ্যম শাসকদলের হয়ে কোনও প্রচার করতে পারবে না। ভোটের প্রচারে ধর্মীয় আবেগকে উস্কে দেওয়াও নিষিদ্ধ। কোনওরকম গুজব ছড়ালে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৭) ভোটের কাজে সরকারি বাংলো ব্যবহার করা যাবে না। মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার-সহ ধর্মীয় স্থানগুলিতে রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি পালন করা যাবে না।
৮) রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় নিয়োগ বন্ধ রাখা হয় এই সময়ে।
৯) ভোটারদের কোনওরকম প্রলোভন দেখিয়ে প্রভাবিত করা যাবে না।
১০) যে এলাকায় যেদিন ভোট হবে তার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে সেখানে কোনও দল প্রচার করতে পারবে না।