Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী।
Advertisement
শেষ আপডেট: 27 May 2024 14:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা নির্বাচনের শেষদিনই পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোট। সোমবার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, আগামী শনিবার, ১ জুন সপ্তম দফা ভোটের শেষেই রাজধানী দিল্লিতে বৈঠকে বসবে বিরোধী জোট। সেখানে ফলাফল এবং ফল পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করা হবে।
সূত্রটি জানিয়েছে, লোকসভা ভোটে জোট গড়ে লড়ার ফলে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে, ফল কী হতে পারে এবং সর্বোপরি ইন্ডিয়া জোটের ফল ভালো হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এসব নিয়েই আলোচনা হবে। আসন সংখ্যার নিরিখে দূরত্ব কমে এলে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় ইন্ডিয়া জোটের বাইরে থাকা দলগুলির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবও উঠতে পারে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই বৈঠক ডেকেছেন। ইন্ডিয়া জোট শরিকদের বিশ্বাস যে, এই ভোটে তাদের মিলিত শক্তির মোকাবিলায় পরাজিত হবে বিজেপি। এবং সকলে মিলে সরকার গঠনের অবস্থায় পৌঁছতে সক্ষম হবে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক দলনেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভোট শেষ হতেই ২ জুন জেলে ফিরে যাওয়ার কথা। ভোটের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুন। কেজরিওয়াল জামিনের মেয়াদ ৭ দিন বাড়ানোর আর্জি জানালেও আদালত কী বলবে তা জানা নেই। তাই ১ জুনের মধ্যেই আলোচনা সেরে ফেলতে চায় সব দলই।
আলোচ্যসূচির প্রধান বিষয় হবে জোট সরকার গঠিত হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এছাড়া শাঁসালো মন্ত্রকগুলির দাবিদার নিয়েও কথা হতে পারে। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে কংগ্রেসের ফলাফলের উপর। কংগ্রেস অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে, তারা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি চায় না। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে আঁকচাআঁকচি হওয়া যে অনিবার্য, তা একপ্রকার বলাই যায়। শরিক দলগুলির মধ্যে অভিজ্ঞতার নিরিখে এনসিপি-র শারদ পাওয়ার অনেক এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি সেই দায়িত্ব নাও নিতে পারেন।
আবগারি দুর্নীতিতে মামলায় জর্জরিত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি অনেকখানি প্রভাবিত হয়েছে, তাই তাঁকেও অনেকে মেনে নিতে রাজি হবেন না। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা প্রবীণ হলেও আসন সংখ্যায় নগণ্য তাঁর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। সিপিএমসহ বাম দলগুলিও এই টালমাটাল সরকারে অংশীদার হতে চাইবে কিনা তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে সন্দেহ রয়েছে। এই অবস্থায় বহু জটিল অঙ্কের সমাধান করতে শনিবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
Advertisement