শেষ আপডেট: 21st March 2024 18:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: আদতে বিহারের বাসিন্দা তিনি। এবার তৃণমূলের হয়ে বাংলা থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। বিরোধীরা তাঁকে "বহিরাগত" বলে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। যদিও বাংলার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের চণ্ডীদাস বাজার বহু বছরের পুরনো। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি প্রচারে বেরিয়েছিলেন। এক ফাঁকে থলে হাতে সাইকেল চালিয়ে সেখানেই ঢুঁ মারলেন কীর্তি। কিনলেন, মাছ, সবজি, শাক। তৃণমূল প্রার্থীকে বাজার করতে দেখে অনেক ব্যবসায়ী বিশ্বকাপ জয়ী ভারতী ক্রিকেট তারকাকে চিনতেই পারলেন না। অনেকেই বললেন, "উনি তো তৃণমূল প্রার্থী। এর বাইরে চিনি না।"
ওই বাজারে সবজি বিক্রি করেন অনীশ দাস। তাঁর কাছ থেকে পাট ও বেতো শাক কিনেছেন তৃণমূলের লোকসভা ভোটের এই প্রার্থী। কীর্তি আজাদ চলে যাওয়ার পরে অনীশের কাছ থেকে কীর্তি আজাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "চিনি না। উনি শুধু শাক কিনে পয়সা দিয়ে চলে গেলেন।"
এই বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছেন প্রদীপ পাল। তিনি বলেন, "উনি কাঁচা আম, পুদিনা পাতা, কাঁচা লঙ্কা কিনেছেন। আমার সবজির প্রশংসা করেছেন।" প্রদীপবাবুকে কীর্তি আজাদের আসল পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করলে হেসে বলেন, "ওনাকে চিনি, উনি তৃণমূলের প্রার্থী।"
আজ থেকে ৪০ বছর আগে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারত প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেই টিমে খেলেছিলেন কীর্তিও। সেখান থেকে তাঁর নাম জেনেছিল গোটা দেশ। কিন্তু এতদিন পরে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যদের স্মৃতি এখন আবছা হয়ে এসেছে অনেকেরই। তাই দুর্গাপুরে তাঁর পরিচয়কে পুনঃস্থাপিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু বিরোধীরা তাঁকে "বহিরাগত" বলেই চিহ্নিত করে দিতে চাইছে।
এদিন বাজারে গিয়ে দোকানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন কীর্তি। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে দিয়েছেন প্লাস্টিকবর্জনের বার্তা। এরপরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তার দিতে গিয়ে ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেন, "এক সময় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা এ রাজ্যে এসে বলেছিলেন আব কি বার দোশো (২০০) পার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল তারা সেঞ্চুরিও করতে পারেনি। আসলে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দীনদরিদ্র মানুষের কথা ভাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।"