শেষ আপডেট: 11th June 2024 20:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি পুনর্দখল হলেও বলাগড় বিধানসভা থেকে লিড পায়নি তৃণমূল। পরিস্থিতির জন্য দলের একাংশ এলাকার 'বিদ্রোহী' বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে দুষছেন। পাল্টা হিসেবে মনোরঞ্জনের ব্যাখ্যা, "দল তো এবারে আমাকে প্রচারেই ব্যবহার করেনি। তাহলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে লাভ কি?"
এখানেই না থেমে মনোরঞ্জন জানিয়েছেন, "বলাগড়ে নিয়ে তিনি আরও লিখবেন, তাতে দল অস্বস্তিতে পড়লেও তাঁর কিছু করার নেই।"
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের মুুখে গত জানুয়ারিতে ফেসবুকে পোস্ট করে দলেরই বলাগড়ের এক 'উপনেতা' এবং তৃণমূলেরই এক নেত্রীর দুর্নীতি ফাঁস করার হুমকি দিয়েছিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
তখনও রাজনীতিতে নাম লেখাননি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দলের বেনিয়ম 'এসপার-ওসপার' করার জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন প্রবীণ এই বিধায়ক। বলেছিলেন, "দুই তিন বছর অনেক অপমান অনেক সহ্য করেছি। আর নয়। লড়াই এবার এসপার ওসপার।" যা নিয়ে সে সময় শোরগোল তৈরি হয়েছিল।
তবে এদিন নতুন করে দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে মনোরঞ্জন বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজের বিদ্রোহী অবস্থানেই অনড় রয়েছেন। এও স্পষ্ট করেছেন, এলাকার মানুষের স্বার্থে তিনি সময়ের আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না। নিজেই জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে দল তাঁকে আর প্রার্থী করবে না।
সেক্ষেত্রে তিনি কি বিজেপিতে নাম লেখাবেন? সরাসরি 'হ্যাঁ' কিংবা 'না'তে জবাব দেননি মনোরঞ্জন। বলেছেন, "সেটা সময় আর মানুষ বলবে।"
অসন্তোষের আঁচ পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপিও। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "উনি এখনও ওই দলে কী করছেন?" একই সঙ্গে শমীকের কৌশলী বার্তা, "বাংলাকে দুর্নীতি মুক্ত করা বিজেপির প্রধান লক্ষ্য। আর যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেন, বিজেপি তাঁদের সমর্থন করে।"
মনোরঞ্জনের দাবি, তিনিও তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এখন দেখার বিধানসভা ভোটের আগে বিদ্রোহী বিধায়ক জার্সি বদল করেন কিনা।