শেষ আপডেট: 7 April 2024 18:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধারালো অস্ত্র নিয়ে জোর করে মমতাবালা ঠাকুরের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছেন শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামীরা! ভিডিও দেখিয়ে এমনটাই অভিযোগ করল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও দলের তরফ থেকে শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি হাতুড়ি গিয়ে একটি গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করছেন। তিনি না পেরে অপর একজনকে হাতুড়ি দিয়ে দেন এবং তাঁকে তালা ভাঙার নির্দেশ দেন। তৃণমূলের দাবি, ওই ব্যক্তি শান্তনু ঠাকুর।
রবিবার সন্ধ্যায় বীণাপাণি দেবীর মন্দিরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, বড় মা বীণাপাণি দেবীর মন্দির জোর করে শান্তনু ঠাকুরের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন ভক্তদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তারপরই তৃণমূলের তরফ থেকে এই ভিডিও দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
BJP'S HOOLIGANISM AT ITS PEAK
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 7, 2024
Shocking visuals are coming from Bongaon where BJP candidate & their leader @Shantanu_bjp , along with his goons carrying sharp objects & arms, are planning a violent attack on our Rajya Sabha MP Mamata Thakur’s residence. pic.twitter.com/dTsRu0GB4Z
মমতাবালা এবং শান্তনু ঠাকুরের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে (এনআরসি) ঘিরে লোকসভা নির্বাচনের আগে তা আরও বেশি বেড়েছে বলা চলে। সম্প্রতি আবার শান্তনুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন মমতাবালা। সেই ইস্যু কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। পাল্টা মমতাবালার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন শান্তনু।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের সেই মামলায় আয়কর দফতরের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আসলে মহাসঙ্ঘের নিয়ন্ত্রণ মমতাবালা ঠাকুর নাকি শান্তনু ঠাকুর, কার হাতে থাকবে তা নিয়ে পরিবারের অন্দরে বিবাদ আছে। তহবিল তছরুপের অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে আরও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এখন তৃণমূল ভিডিও দেখিয়ে যে অভিযোগ করছে তা আরও মারাত্মক।
তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন শান্তনু। তিনি বলেন, ''আমাকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমন একজনকে সাংসদ বানিয়েছেন যিনি ঠাকুরবাড়ির গরিমা, ইতিহাস, সৌজন্যতা কিছু জানেন না। আমি কোনও ডাকাতি করতে বা চুরি করতে ঢুকিনি।'' শান্তনু বলছেন, অনেকবার তালা খুলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ শোনেননি। তাই তালা ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদেরকে হেনস্থা করেছে। তাঁরা আগামীতে আন্দোলনে নামবেন।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুর সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জোর করে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করা থেকে শুরু করে, অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন শান্তনু এবং তাঁর অনুগামীরা, এই অভিযোগ করেছেন মমতাবালা ঠাকুর।