শেষ আপডেট: 5 April 2024 18:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নজিরবিহীন বললেও কম বলা হয়!
ভোট ঘোষণার আগেই এবারে বাংলায় এসেছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। বিভিন্ন জেলায় রুট মার্চও শুরু হয়ে গেছে। কমিশন সূত্রের খবর, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজ্যে আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল, রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ ভোটের দিন ক্যামেরার সাহায্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের হাল হকিকতের নজরদারি রাখবেন কমিশনের কর্তারা।
এ ব্যাপারে কমিশনের রাজ্যের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেখানে ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, সেখানে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালাতে হবে। স্পর্শকাতর বুথগুলির ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারির কথাও বলা হয়েছে।
কমিশন সূত্রের দাবি, হিংসা মুক্ত অবাধ ভোটের জন্যই এই উদ্যোগ।
গত বছর পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করেই একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল বাংলাজুড়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। আদালতের নির্দেশে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হলেও বুথের দিন বহু কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
এবারের ভোটের আগে থেকেই তাই কমিশনের কড়া নজরদারির দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। কমিশনের তরফেও জানানো হয়েছিল, ভোটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
যদিও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী মোদী কমিশনকে প্রভাবিত করছেন বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেছেন, "যার বিয়ে সেই পুরোহিত!"
প্রসঙ্গত, চলতি নির্বাচনের জন্য বেনজিরভাবে বাংলায় সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এত আধাসেনা দেশের আর কোনও রাজ্যে মোতায়েন হচ্ছে না।
জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ৬৩৫ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে। যা বাংলার থেকে অনেক কম। মাওবাদী সমস্যা কবলিত ছত্তীসগড়ের জন্য চাওয়া হয়েছে ৩৬০ কোম্পানি। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে লোকসভার আসন সংখ্যা ৮০। অর্থাৎ বাংলার প্রায় দ্বিগুণ। অথচ সেই উত্তরপ্রদেশের জন্য মাত্র ২৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।