শেষ আপডেট: 4th April 2024 10:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভার সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের পর দিল্লির সরকারি বাসভবন ছাড়তে হয়েছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। যদিও পরে আদালতের নির্দেশে এমপি পদ ফিরে পেলেও সেই সরকারি বাংলোয় আর যাননি রাহুল। এখনও তাঁর নামে কোনও বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। এমনকী নিজের কোনও গাড়িও নেই। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে এই রাজনীতিকের। কেরলের ওয়ানাড়ে মনোনয়ন পেশের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় এই তথ্য দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।
বুধবার দুপুরে ওয়ানাড়ে লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা কেসি বেণুগোপাল ছাড়াও বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। হলফনামায় রাহুল জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ৯.২৪ কোটির অস্থাবর সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার টাকা নগদ, ২৬.২৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে মেয়াদি জমা, ৪.৩৩ কোটির বন্ড এবং শেয়ার, ৩.৮১ কোটির মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ১৫.২১ লক্ষ টাকার স্বর্ণ বন্ড এবং ৪.২০ লক্ষ টাকার গয়না আছে।
স্থাবর সম্পত্তি বলতে ১১.১৫ কোটি টাকার জমিজমা আছে। তার মধ্যে দিল্লির মেহরৌলিতে বোন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে যৌথ মালিকানায় একটি কৃষিজমি আছে। গুরুগ্রামে রাহুলের নামে একটি অফিস করার মতো জায়গা, যার বর্তমান মূল্য ৯ কোটি টাকা। কৃষিজমিটি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া হলেও অফিসে জায়গাটি রাহুলের নিজস্ব বলে দাবি করা হয়েছে হলফনামায়।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় রাহুল বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী পুলিশ কেস আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক নির্যাতিতার পারিবারিক পরিচয় ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পকসোতে একটি মামলা রয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিল করা খামে রয়েছে। রাহুল লিখেছেন, আমি এফআইআর সম্পর্কে এর বিস্তারিত কিছু জানি না। আমি ওই মামলায় আদৌ অভিযুক্ত কিনা তাও জানি না।
অন্যান্য মামলাগুলির মধ্যে রয়েছে, বিজেপি নেতাদের করা অবমাননা এবং অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের একটি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র মামলা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ওয়ানাড় কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। আগামী ২৬ এপ্রিল হতে চলা লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র থেকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন ইন্ডিয়া জোট শরিক সিপিআইয়ের নেত্রী অ্যানি রাজা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন।