শেষ আপডেট: 20th April 2024 11:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টের পেয়েছেন যে, বিজেপি জমি হারাচ্ছে। উত্তর ভারতেও পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বিজেপির। সেই ভয় ধরেছে মোদীর মনেও। তা না হলে এরকম নিম্নরুচির কথা তিনি বলবেন কেন?' কর্নাটকে মোদীর প্রচারে আসার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রীকে মাংস-বিতর্কে নিশানা করল কংগ্রেস। এদিকে, মোদীও মহারাষ্ট্রের এক জনসভায় বলেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়ে হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন। তাই উনি আরও একটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। মোদীর দাবি, প্রথম দফার জনমত ইন্ডিয়া জোটের বিপক্ষে গিয়েছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভা প্রার্থী কে সি বেণুগোপাল একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাংস খাওয়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ভাষণ দিচ্ছেন কী করে? আসলে উনি হারের ভয় পেয়েছেন। বুঝতে পারছেন উত্তর ভারতসহ সর্বত্র বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। সেই আতঙ্ক থেকেই কে মাংস খাবে, কে খাবে না, তা নিয়েও ভোটের প্রচার করছেন।
বেণুগোপাল বলেন, উনি কী বলতে চাইছেন যে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা কেউ মাংস খান না! তাঁরা সকলেই নিরামিষাশী? আর সমস্ত কংগ্রেস কর্মী আমিষভোজী, প্রশ্ন তোলেন বেণুগোপাল। কে কী খাবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। কেউ সেটা ঠিক করে দিতে পারেন না। বিজেপি রামমন্দিরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগ তুলে বেণুগোপাল আরও বলেন, মানুষ সেটা টের পেয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, বিজেপি কিংবা মোদী কেউই দেশের বেকারি, কৃষক সমস্যা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রা কাড়ছেন না! কেন? বিজেপি চায় ধর্মের জিগির তুলে এসবকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে। কিন্তু, সেটা একবার হয়, বারবার হয় না। নির্বাচন এলেই বিজেপি এটা করে। আসলে ওদের ধর্মবিশ্বাসে কোনও পবিত্রতা নেই, দাবি বেণুগোপালের।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুটি সভা রয়েছে বেঙ্গালুরু এবং পার্শ্ববর্তী চিক্কাবল্লাপুরায়। তার আগে মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে এক জনসভায় মোদী দাবি করেন, প্রথম দফার নির্বাচনে হেরে গিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সনাতন ধর্মকে অসম্মান করছে। অযোধ্যা রামমন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের তৈরি করা সমস্ত ক্ষতে প্রলেপ লাগানোই মোদীর গ্যারান্টি।