মহুয়া মৈত্র
শেষ আপডেট: 13 May 2024 05:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। প্রথম তিন দফার মতো বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। তবে বড়ঞায় তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। যে ঘটনায় অভিযোগের তির পুলিশের দিকে। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে।
কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর টক্করে কে জয়ী হন তা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই দুই প্রার্থী বেশ সক্রিয়। কমিশনের বিরুদ্ধে মহুয়ার অভিযোগ, তাঁরা স্বাভাবিক নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনে কমিশন কোনও পদক্ষেপ করে না। মোদী-শাহ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের দুই-তৃতীয়াংশের বিচারে নিয়োগ করেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ভোট অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলে মনে করছেন মহুয়া।
বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ঘটনার মধ্যে উল্লেখ করা যায় বড়ঞার হরিবাটির ঘটনা। সেখানে এক তৃণমূল কর্মীকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল, তৃণমূলের লোক তাঁদের এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দিচ্ছে। সেই অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে লাঠিচার্জ করে তাঁরা। সেখানেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা হওয়ায় এক দলীয় কর্মীকে পুলিশ চড় মারে বলে দাবি। একই সঙ্গে, ৪-৫টি বাইকে ভেঙে দিয়েছে পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
অশান্তির ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগরেও। সকালেই তেহট্টের থানারপাড়ায় তৃণমূলের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এক সিপিএম কর্মীর মাথা ফেটে যায়। আবার নাকাশিপাড়ায় তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের হাতাহাতিতেও মাথা ফাটে আরেক সিপিএম কর্মীর। বাদ যায়নি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর। বড়ঞায় কংগ্রেস এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।