শেষ আপডেট: 10th April 2024 16:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মতুয়াদের ভোট কোন দিকে থাকবে তা নিয়ে অঙ্ক কষাকষি চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে মতুয়াদের মধ্যে 'অ্যাডভান্টেজ' বিজেপিই। সেই ধারা এবারের লোকসভা ভোটে বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিল। কারণ, রাজ্যের তিন আসনে আলাদা প্রার্থী দেওয়ার ভাবনা নিয়েছে মতুয়ারা।
মমতাবালা ঠাকুর এবং শান্তনু ঠাকুরের দ্বন্দ্ব নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। ঠাকুর পরিবারের এই সংঘাত মতুয়া ভোটের ওপর প্রভাব ফেলে যথেষ্টই। এখন রাজ্যের তিন আসনে তাঁরা আলাদা প্রার্থী দিলে ভোটের সমীকরণ কী দাঁড়াবে তা নিয়েই জল্পনা। ‘শান্তিহরি মতুয়া ফাউন্ডেশন’ বনগাঁ, কৃষ্ণনগর এবং বারাসতে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে। কৃষ্ণনগরের বদলে বর্ধমান পূর্বে প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু যাকে প্রার্থী হিসেবে ভাবা হয়েছিল, তিনি অসুস্থ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকে (এনআরসি) ঘিরে লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতাবালা এবং শান্তনুর সংঘাত অন্য মাত্রা নিয়েছে। সম্প্রতি আবার শান্তনুর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন মমতাবালা। সেই ইস্যু কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। পাল্টা মমতাবালার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন শান্তনু। অন্যদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় বীণাপাণি দেবীর মন্দির চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, বড় মা বীণাপাণি দেবীর মন্দির জোর করে শান্তনু ঠাকুরের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজন ভক্তকে মারধরও করা হয়েছে। তারপরই তৃণমূলের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করা হয়।
ঠাকুরবাড়ির অশান্তি দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ভক্তরা। বারুণীর মেলায় আসা ভক্তরা মমতাবালা আর শান্তনু ঠাকুরের দ্বন্দ্বে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, "এটা তীর্থস্থান। কেন প্রত্যেকবার দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব দেখতে হবে তাঁদের!" এতকিছুর মধ্যে এখন তিন আসনে মতুয়ারা আলাদা প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় দুই পক্ষেরই জটিলতা বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। যে আসনে মতুয়ারা প্রার্থী দিচ্ছে সেই আসন বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মতুয়া ভোটে কার যাত্রা ভঙ্গ হবে, সেটাই দেখার।