শেষ আপডেট: 10th June 2024 11:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের পর দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতির পদ থেকে জেপি নাড্ডাকে সরে যেতে হবে জানাই ছিল। সভাপতি পদে তাঁর মেয়াদ লোকসভা ভোটের আগেই শেষ হয়ে যায়। নির্বাচন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেছিল দল।
রবিবার নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করার পর দলের অন্দরে এখন জোর আলোচনা কে হতে যাচ্ছেন দলের পরবর্তী জাতীয় সভাপতি। আলোচনায় আগে থেকেই একাধিক নাম ছিল। সেই নেতাদের অনেকেই এবারও মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। তবে আশ্চর্যের হল মোদীর বিগত দুটি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মুখ অনুরাগ ঠাকুরকে এবার মন্ত্রী করা হয়নি। আগের মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ছিলেন। ছিলেন মন্ত্রিসভার অন্যতম মুখপাত্র।
তথ্য ও সম্প্রচারকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক বিবেচনা করা হয়ে থাকে। স্বভাবতই দল ও সরকারের কাছে অনুরাগের গুরুত্ব নিয়ে সংশয় নেই। তাঁকে এবার মন্ত্রী না করার পিছনে দলীয় সভাপতির ভাবনা কাজ করছে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিজেপির যুব মোর্চার একদা সফল জাতীয় সভাপতি অনুরাগের তখনকার টিমের অনেকেই এখন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন।
এছাড়াও সুনীল বনসল এবং বিনোদ তাবড়ের নাম পরবর্তী সভাপতি হিসাবে বিবেচনায় আছে। নাড্ডার পর ভূপেন্দ্র যাদবকে সভাপতি করা হবে বলে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা ছিল। নাম ছিল মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের। কিন্তু মোদী দু’জনকেই তাঁর তৃতীয় মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন। ভূপেন্দ্র যাদব আগের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন।
ওড়িশা, বাংলা ও তেলেঙ্গানার দায়িত্বে থাকা সুনীল বনসল এর আগে উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর ঝুলিতে একাধিক রাজ্যে সাফল্যের নজির রয়েছে। যদিও বিজেপিতে সভাপতি পদে নাম বাছাইয়ে শুধু এই সাফল্যই বিবেচনা করা হয় না। আঞ্চলিক ভারসাম্যের অঙ্কও কাজ করে। নাড্ডার আগে সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। তার আগে রাজনাথ সিং। শাহ পশ্চিম ভারতের মানুষ। রাজনাথ উত্তর ভারতের। নাড্ডাও তাই। বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে শেষ সভাপতি ছিলেন নীতিন গডকড়ি।
ভাবনা আছে দক্ষিণ ভারত নিয়েও। নরেন্দ্র মোদী দেশের দক্ষিণ প্রান্তে দলের প্রভাব বাড়াতে আগ্রহী। সেই অঙ্কে দক্ষিণ ভারতের কোনও নেতাকে জাতীয় সভাপতি করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। একই অঙ্কে অনুরাগের সম্ভাবনা আবার সবচেয়ে কম। কারণ, বিদায়ী সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অনুরাগ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান ছাড়াও হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর এবং ওডিশার নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানের নামও সভাপতি পদে বিবেচনায় ছিল। রবিবার তাঁরা দু’জনও কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছেন। নাড্ডার মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। হাতে সময় কম। ফলে দ্রুতই বিজেপিকে নতুন সভাপতি বাছতে হবে, যিনি একই সঙ্গে আরএসএসেরও ঘনিষ্ঠ।