শেষ আপডেট: 18 April 2024 22:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে প্রথম দফা ভোট। ভোটের ২৪ঘণ্টা আগে বামেদের তরফে প্রকাশ করা হল ইস্তেহার। কেন বিজেপি বা তৃণমূলকে একটিও ভোট নয়, তার সপক্ষে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে ইস্তেহারা।
এদিন ইস্তেহার প্রকাশের পর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "কেন্দ্রে মোদী সরকার যেমন অনেক কিছু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি তেমনি এরাজ্যে শিক্ষা থেকে রেশন প্রতিটি ক্ষেত্রে সামনে এসেছে দুর্নীতির ছবিটা। রাজ্যের একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। তাই কোনও অবস্থাতেই এই দুটি দলকে একটিও ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ইস্তেহারে।"
তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও একটি বিষয়ে এরাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে একই মত বামেদের। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে মিথ্যে অভিযোগে বিরোধীদের জেলে ভরছে মোদী সরকার, এই অভিযোগে আগে থেকেই সরব তৃণমূল। বামেদের ইস্তেহারেও বিজেপির এজেন্সি-রাজের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
একইভাবে সংসদে বিরোধীদের কন্ঠরোধের প্রসঙ্গে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বামেদের দাবি, আলোচনা ছাড়াই সংসদে বিল পাশ করতে জোর করে দুদিনে ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি সরকার। যা সংসদের অন্যতম কালো দিন। বাজেটে বামেদের দাবি, ৭৯ শতাংশ বাজেট আলোচনা ছাড়াই এক তরফাভাবে পাশ করিয়েছে বিজেপি।
কটাক্ষ করা হয়েছে তৃণমূলকেও। এদিনও বালুরঘাটের সভা থেকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে জগাই, মাধাই, গদাই বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, "সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। পঞ্চায়েতে জগাই মাধাই গধাই একসঙ্গে কাজ করে। ওদের একটি ভোটও নয়।"
বিজেপিকে ঠেকাতে সর্বভারতীয়স্তরে ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছিল। এদিন সেই ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, "এবারে আর বিজেপি নয়, ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বেই সরকার হবে, আর সেই সরকারকে বাংলা থেকে নেতৃত্ব দেব আমরা, বিজেপিকে ঠেকাতে পারে কেবল তৃণমূল।"
যার জবাবে বিমান বসু বলেন, "আমরা ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য শরিকদের নিয়েই ৪২ আসনে লড়াই করছি। তৃণমূল তো আলাদা লড়াই করছে। ১০৩ পাতার ইস্তেহার। যেন ঠাকুমার ঝুলি!"
একই সঙ্গে বিমানের প্রশ্ন, "নির্বাচনী ইশতেহারে লেখা দিদির শপথ। এর মানে কী? তৃণমূলের ইস্তেহার দেখলে মনে হয় এটা দেশের ভোট নয়, রাজ্যের ভোট হচ্ছে।"