শেষ আপডেট: 16 March 2024 15:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনেকের ধারণা ছিল, গত ভোটের মতো এবার হয়তো হবে না। উত্তরবঙ্গ থেকে ভোট শুরু না করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল তথা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম থেকে ভোট শুরু হবে। তাপমাত্রা আরও চড়ে যাওয়ার আগে ভোট হয়ে যাবে পশ্চিম মেদিনীপুরেও।
কিন্তু না উত্তরবঙ্গ থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এবং সেদিক থেকে দেখতে গেলে উনিশের লোকসভা ভোট সাত দফায় যেভাবে সাজানো হয়েছিল, কম বেশি সেটাই বজায় রাখল নির্বাচন সদন। প্রশ্ন হল কেন?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের কথা মাথায় রেখেই কোন দফায় কোথায় ভোট হবে তা ঠিক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মুভমেন্ট হবে উত্তর থেকে দক্ষিণে।
এবার প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ভোট হবে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে। গত লোকসভা ভোটে প্রথম দফায় কেবল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোট হয়েছিল। এবার জলপাইগুড়িও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় এই তিন আসনে ভোট গ্রহণের সময়েই রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দার্জিলিং লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সাজিয়ে ফেলা হবে। সেখানে ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তার পর প্রথম দফায় মোতায়েন করা বাহিনীকে ২০ এপ্রিলের পর পাঠিয়ে দেওয়া হবে মালদা ও মুর্শিদাবাদে। কারণ, পরের দফায় ভোট হবে মালদহর দুটি আসন এবং জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে।
কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, এবার লোকসভা ভোটে বাংলায় সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম দফা থেকে ওই সংখ্যায় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। কারণ, গোটা দেশে ভোট হচ্ছে। তবে প্রথম তিন দফার মধ্যে অনেক রাজ্যে ভোট হয়ে যাবে। তার পর সেই বাহিনী পাঠানো হবে বাংলায়।
সেই কারণেই চতুর্থ দফা থেকে বেশি সংখ্যায় আসনে ভোট করানো যাবে। যেমন ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৮টি আসনে। সেগুলি হল, বহরমপুর, কষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দূর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম এবং বোলপুর। পঞ্চম দফায় ভোট হবে ৯টি আসনে—শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, দমদম , বসিরহাট, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, আরামবাগ লোকসভা আসনে।
আবার সপ্তম দফাতেও ৯টি আসনে ভোট হবে। দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর আসনে ভোট হবে ১ জুন। সেই দফায় রাজ্যে ৯২০ কোম্পানি বাহিনীই থাকবে বলে জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে।
তবে কমিশন সূত্রে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তা হল, এই রাজ্য থেকে বেশ কয়েকজন আইপিএস কর্তাকে অবজার্ভার করে পাঠিয়ে দেওয়া হতে অন্য রাজ্যে। পরিবর্তে বাইরের রাজ্য থেকে বাংলায় পুলিশ অবজার্ভার আনা হতে পারে।