প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
শেষ আপডেট: 21 May 2024 13:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধূমধাম করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন। ঘটা করে ঘোষণা করেছিলেন, মোদীর গ্যারান্টির কথা। কিন্তু ১৭ মার্চ ভোট ঘোষণার পর থেকে ১৫মে পর্যন্ত ১১১টি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের উল্লেখ করেছেন মাত্র ৩২টি তে। মোদীর গ্যারান্টির কথা বলেছেন মাত্র আটটি সভায়।
অন্যদিকে, এই ৫০ দিনের প্রচারে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছেন ৬০ বার। আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন ১০৫টি সভায়।
এজটি সর্বভারতীয় ইংরিজি দৈনিক প্রধানমন্ত্রীর ১১১টি জনসভা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে কীভাবে বদলে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের বিষয়।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে হিন্দু মুসলিম প্রসঙ্গের উল্লেখ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিগত কয়েকদিন ধরে চর্চা চলছে। কংগ্রেস সহ বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে, প্রধানমন্ত্রী হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এক তরফা কংগ্রেসকে আক্রমণও আলোচনার বিষয় হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রাম মন্দির প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন। এড়িয়ে যাচ্ছেন নিজের নামে গ্যারান্টির কথাও। যদিও বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে মোদীর গ্যারান্টির কথাই ফলাও করে বলা হয়েছে।
লক্ষণীয়, ৫ এপ্রিল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিষয়বস্তু পুরোপুরি বূলে যায়। কংগ্রেসের ইস্তাহারকে মুসলিম লিগের ঘোষণা পত্র বলে আক্রমণ শুরু করেন। অভিযোগ করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সব সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে।
১০৫টি সভায় কংগ্রেসকে আক্রমণে স্পষ্ট বিদায়ী সংসদে মাত্র ৫২টি আসন থাকা শতাব্দী প্রাচীন দলটিকেই দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াইয়ে প্রধান বাধা মনে করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কংগ্রেস সরকার গড়ার সুযোগ পেলে তফসিলি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ মুসলিমদের দিয়ে দেবে। এইভাবে বারে বারে মুসলিম এবং কংগ্রেস প্রসঙ্গ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তবে, তাৎপর্যপূর্ণ হল, এবার পরিবারতন্ত্র এবং তা নিয়ে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ এবার তুলনামূলকভাবে কম।
কেন প্রধানমন্ত্রী ভাষণে ইস্যু বদল করলেন? ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর সেটিকে বিরোধীদের আক্রমণে নতুন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের কৌশল নেন। তার আগে সব বহু ব্যবহৃত অস্ত্রই তাঁকে ব্যবহার করতে হচ্ছিল।
তাছাড়া রাম মন্দিরকে ঘিরে যে ধরনের আবেগ, উন্মাদনা তৈরি হবে বলে দল ভেবেছিল, ততটা হয়নি। কারও কারও মতে, এটা বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর অজানা ছিল না। তবু ভোটের আগে ঘটা করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন না করলে হিন্দুত্ববাদী ভোটাররা বিরক্ত হতেন। আবার লম্বা ভোট পর্বও মন্দির ইস্যুকে লঘু করে দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।