শেষ আপডেট: 19th May 2024 14:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার আরামবাগের সভা থেকে বড় অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভারত সেবাশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনের একাংশ মহারাজ সরাসরি রাজনীতি করে দেশের সর্বনাশ করছেন।
রবিবার মমতার সেই সমালোচনাই লুফে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন পুরুলিয়ার সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইস্কন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও রামকৃষ্ণ মিশনকে হুমকি দিচ্ছেন। গোটা দুনিয়ায় তাঁদের ভক্তরা রয়েছেন। তাঁরা সেবার কাজ করে চলেছেন। কিন্তু বাংলার সরকার তাঁদের দিকে আঙুল তুলছে। তাদের নাম নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এত সাহস!” মোদীর কথায়, “নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করতে তৃণমূলের তোষণের রাজনীতিতে এত নিচে নেমে গেছে। বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের ভক্তি ও ভাবাবেগকে তারা পরোয়া করছে না”।
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, “সব সজ্জন সমান হয় না। সব সাধুও নয়। আমাদের মধ্যেই কি সবাই সমান আছেন? আমি আইডেনটিফাই করেছি বলেই বলছি।" এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সেবাশ্রমকে খুব শ্রদ্ধা করতাম। শ্রদ্ধার তালিকায় ওরা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। তিনি ওখানে বলছেন- তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেব না। সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না, কারণ তিনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। আমি আইডেনটিফাই করেছি, কে কে করেছেন।"
তারই পাল্টা এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদ, স্বামী বিবেকানন্দ, প্রণবানন্দ মহারাজের অপমান এই দেশ সহ্য করবে না। যে সরকার এই বাংলার সংস্কৃতিকে সম্মান করে না, তাদের ভোটে সাজা দিন, যাতে আর ওরা সন্ত বা সাধুদের অপমান করতে না পারে”।
এই চাপানউতোর নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “মমতা মোদী এই মল্লযুদ্ধের স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নেমেছেন। যাতে ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ হয়। এটা এখন বাচ্চা ছেলেরাও বোঝে। কেউ বোকা নয়।”