শেষ আপডেট: 22nd May 2024 12:48
প্রীতি সাহা
জনসংঘের সময় থেকেই মেদিনীপুরে গেরুয়া শিবিরের একটা জনভিত্তি রয়েছে। সেই মেদিনীপুরে বিজেপির সাংসদ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাঁকে এবার মেদিনীপুরে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাতেই আন্দাজ করা হচ্ছিল, মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষের পুনরায় জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে হয়তো নিশ্চিত নন মোদী-শাহরা। পরিবর্তে তাঁরা মেদিনীপুরে প্রার্থী করেছেন রাজ্য বিজেপি মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী অগ্নমিত্রা পলকে।
কিন্তু মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা এই লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার এতে আক্ষেপ রয়েছে। দিলীপ দা নেই কেন? দ্য ওয়ালে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জুন মালিয়াকে প্রশ্ন করা হয়, দিলীপ ঘোষ থাকলে কি লড়াই আরও হাড্ডাহাড্ডি হত?
সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে উপরের লিঙ্কে ক্লিক করুন
জবাবে জুন বলেন, “দিলীপ দা থাকলে খুব মজা পেতাম”। জুনের কথায়, “আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। সবেমাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করে দিলীপ দার মতো একজন লোকের বিরুদ্ধে আমি ফাইট করব। দিলীপ দা থাকলে তো খুব ভালই লাগত।”
দিলীপ দা মেদিনীপুরে না থাকায় কি মন খারাপ? জুন মুখ ব্যাজার করে বলেন, “মন একটু ভেঙেছে দিলীপ দা। নেভার মাইন্ড।” সেই সঙ্গে এও বলেন, “দিলীপদা থাকলে আমার ভাল লাগত যুদ্ধটা করতে। দিলীপদা ওরকম চাঁচাছোলা কথা বলেন, কিন্তু দিলীপ দার মনটা ভাল।”
দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপি সভাপতি থাকার পাশাপাশি এক সময়ে খড়্গপুরের বিধায়কও ছিলেন। তবে জুন বিধানসভায় তাঁকে পাননি। জুনকে প্রশ্ন করা হয়, দিলীপ ঘোষের ব্যাপারে আপনি এত সহানুভূতিশীল, ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে নাকি?
জুন বলেন, “পার্সোনাল সম্পর্ক কেন হবে? একি! পার্সোনাল সম্পর্ক মানে কি তাঁর কোলে বসে পড়া?” তাঁর কথায়, “আমার বর বলে তোমার তো কোনও বন্ধুই নেই। কিন্তু আমার তো বন্ধু করার সময়ই নেই।” এটুকু বলেই ফের দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গে ফিরে আসেন জুন। তিনি বলেন, “দিলীপ দাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কারণ, আজকে বাংলায় বিজেপির এত যে প্রতিপত্তি তা দিলীপদার হাত ধরে হয়েছে। বিজেপিও তাঁকে অশ্রদ্ধা করতে পারে না।”
দিলীপ ঘোষ যেমন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র, তেমনই জুনও এই জেলারই মেয়ে। কলকাতায় জন্ম হলেও মহিষাদল রাজবাড়ির মেয়ে জুন। তাঁর কথায়, “মেদিনীপুরের রক্ত আমার শিরায়।” অনেকের মতে, দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে সরানোয় বিজেপির মধ্যেও অনেকে অখুশি। হতে পারে জুন কৌশলে সেই অসন্তোষেই হাওয়া দিতে চাইছেন।