শেষ আপডেট: 30th May 2024 08:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৫ মে ষষ্ঠ দফা ভোটের দিন বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের এই তল্লাটকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়। এবার স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে কেশপুরের প্রসঙ্গে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন হিরণ।
ঘাটাল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয় তৈরি হয়েছে ঘাটাল লোকসভার স্ট্রং রুম। বুধবার সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে হিরণ অভিযোগ করেন, "কেশপুরের অন্তত ২০০ টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে না দিয়ে তৃণমূল খুললাম খুললাম ছাপ্পা মেরেছে। কমিশনে অভিযোগ জানিও এখনও কোনো সদুত্তর আসেনি।"
একই সঙ্গে হিরণ আরও জানান, "এই সন্ত্রাস বরদাস্ত করব না, দলের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাব।"
বিজেপি প্রার্থীর আনা অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। ঘাটালের দুবারের সাংসদ, তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হয়েছে, তাতেও সন্ত্রাসের কথা বললে হাস্যকর!"
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে এই কেশপুর থেকেই সিপিএম প্রার্থী নন্দরানি ডল প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। যা নিয়ে সে সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল।
উনিশের লোকসভা ভোটে ঘাটাল লোকসভা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বিজেপির বক্তব্য, দেবের এই লিডের সিংহভাগই জুগিয়েছিল কেশপুর। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এবারেও কেশপুরের ভোটে সকাল থেকে তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে বুথের পর বুথে ছাপ্পা মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ হিরণের।
বিজেপি প্রার্থীর কথায়, "কেশপুরের সেই সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের হাত ধরে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।"