শেষ আপডেট: 5th May 2024 15:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: পিপিপি মডেলে চলা ল্যাবের লাইসেন্স রিনিউ হয়নি। ইউএসজি মেশিনও পুরনো হয়ে গেছে। তাতে মহিলা রোগীদের ভুল রিপোর্ট আসছে। এই অভিযোগ এনে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালের ইউএসজি মেশিনের কাজ বন্ধ করে দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার সিঙ্গুরে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তখন আচমকাই দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে হাজির হন। হাতে কাগজ নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, যে মেশিনে ইউএসজি করা হচ্ছে তাতে গলদ রয়েছে। গর্ভবতী প্রসূতি মায়েরা সঠিক রিপোর্ট পাচ্ছেন না, কারণ মেশিন ২০১৭ সালে নাকি ‘এক্সপায়ার’ করে গেছে। ২০২২ সালে লাইসেন্স রিনিউ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এরপরেই ল্যাবের যে যায়গায় ইউএসজি হয় সেখানে গিয়ে বসে পরেন লকেট। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে জানতে চান কী ভাবে এই কাজ করছেন তাঁরা।
সেই সময়ে এক চিকিৎসক জানান, মেশিনে দু-একবার রিপোর্টে কিছু গন্ডগোল হয়েছিল। তারা বিষয়টি বিএমওএইচ মারফত জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নজরে এনেছেন। তবে মহিলাদের উপসর্গ দেখে তাঁদের কিছু সন্দেহ হলে বাইরে থেকেও আলট্রাসোনোগ্রাফি করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তাঁরা।
চিকিৎসক অর্পিতা মুখার্জি বলেন, "অনেক সময় রিপোর্টে দেখা যায়, রোগী স্বাভাবিক আছে তবুও তার কিছু সমস্যা হচ্ছে। তখন আমরা সেকেন্ড ওপিনিয়নের জন্য বাইরে রেফার করি। মেশিনটা পুরনো বা কাজ করে না, ২০১৭ সালে এক্সপায়ার হয়ে গেছে, সে বিষয়ে আমাদের জানা ছিল না।"
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পুরনো মেশিন দিয়ে লাইসেন্স ছাড়াই সরকারি হাসপাতালে আলট্রাসোনোগ্রাফির কাজ করানো হচ্ছে। নতুন মেশিন কেনা হয়নি। আমরা পুলিশে অভিযোগ করব। যাঁরা জেনেশুনেও এতদিন ধরে এসব কাজ করেছে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। মানস নিয়োগী যিনি এই ল্যাব চালাতেন তিনি লাইসেন্স রিনিউ করেননি, যাকে টাকা দিয়েছেন তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো হবে।"
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, "মেশিনের এক্সপায়রি বলে কিছু হয় না। যিনি পিপিপি মডেলে চালাচ্ছিলেন তাঁকে লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। ১৯৯৪ সালের পিএনডিটি অ্যাক্টের আওতায় পিপিপি মডেলে এই ল্যাবগুলো চলে। এর জন্য প্রশাসনের থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর লাইসেন্স নিতে হয়। সেটা না থাকলে আমরা শোকজ করব। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ব্যবস্থা নেব।"