শেষ আপডেট: 15th April 2024 12:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ, সোমবার দেশের দক্ষিণতম রাজ্য কেরলে মোদী-রাহুল দ্বৈরথ। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যে মাটিতে কোনওদিন পদ্ম ফোটেনি, এদিন সেখানেই বাগযুদ্ধ গ্রীষ্মের তাপমাত্রার মতো চড়তে চলেছে রাজনৈতিক পারদ। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কেরলের ত্রিশূর জেলার আলাথুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে একটি সভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তার ঠিক আগেই এক্সবার্তায় তিনি লেখেন, কেরলের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজ্যের মানুষ আর সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চাকে সমর্থন করতে চাইছে না।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ মার্চ কেরলের ২০টি লোকসভা কেন্দ্রে একদিনে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রচার শেষ হবে ২৪ মার্চ বিকেল পাঁচটায়। ফলে ভোটের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে দেশের শাসক ও বিরোধী জোটের দুই মাথা একসঙ্গে রাজ্যে প্রচারে আসায় কেরলে উন্মাদনা চরমে উঠেছে। মোদী এদিন দুটি জনসভা করবেন। রাহুল দুদিনের সফরে আসছেন। প্রথমে কোঝিকোড়ে সন্ধ্যায় একটি জনসভা করবেন কংগ্রেস নেতা। পরে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাড়ে গিয়ে প্রচারের কাজ করবেন আগামিকাল, মঙ্গলবার।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এর আগে শেষবার ১৯ মার্চ কেরলে এসেছিলেন। এ নিয়ে মোট ৬বার রাজ্যে প্রচারে এলেন তিনি। আলাথুর এবং ত্রিশূরে দুটি জনসভা সেরে তিরুবনন্তপুরমের কাট্টাক্কাড়ায় যাবেন তিনি। উল্লেখ্য, তিরুবনন্তপুরম হল কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের শক্ত ঘাঁটি। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে টানা তিনবার এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতে আসছেন থারুর। এবার সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।
২০১৯ সালে ত্রিশূরে অভিনেতা থেকে রাজনীতিতে আসা সুরেশ গোপীকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেবার মাত্র ২৮.২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর দল। তার আগেরবার ২০১৪ সালে পদ্ম প্রার্থী পেয়েছিলেন আরও কম ১১.১৫ শতাংশ ভোট। সেই হিসেবে উত্তরোত্তর বিজেপির ভোটের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে দক্ষিণের এই রাজ্যে।
কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল এদিন সন্ধ্যায় উত্তর কোঝিকোড়ে একটি জনসভা করবেন। তারপরে নিজের কেন্দ্রে প্রচার শুরু করবেন। আগামী ১৮ এপ্রিল কান্নুর, পালাক্কাড় এবং কোট্টায়মে জনসভা রয়েছে কংগ্রেসের। এর পরের দফায় রাহুল ২২ এপ্রিল ত্রিশূর, থারুরের কেন্দ্র তিরুবনন্তপুরম এবং আলাপ্পুঝায় জনসভা করবেন। উল্লেখ্য, কেরলের ওয়ানাড় থেকে রাহুল ২০১৯ সালে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৭০ ভোটে জিতেছিলেন কিন্তু উত্তরপ্রদেশে গান্ধী পরিবারের খাসজমি আমেথি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরেছিলেন।