শেষ আপডেট: 27th March 2024 15:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে প্রথমবার পদে থাকাকালীন কোনও মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই রাজধানী সরগরম। এই বিষয়ে অবশ্য নয়াদিল্লির ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বেড়েছে। জার্মানির পর আমেরিকার তরফে এই গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। ব্যাপারটি মোটেই ভালো চোখে দেখছে না সাউথ ব্লক। ইতিমধ্যেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ইস্যুতে তিনদিন আগে জার্মানির তরফে বলা হয়েছিল, তাঁরা আশা করছে ভারত সরকার এই ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পদক্ষেপ করবে। মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছেন। এই ঘটনায় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপের আশা করছেন। সূত্রের খবর, এই মন্তব্যের পরই আমেরিকার ওই কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিটের বৈঠক হয়। সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে কেন তিনি মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ওই কূটনীতিকের কাছ থেকে। যদিও আর কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা সামনে আসেনি।
আমেরিকার দূতাবাসের কার্যকরী সহকারী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনা কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। এরপরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই বিষয়ে নিন্দা করা হয়েছে। নয়াদিল্লির বার্তা, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। কূটনীতিকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।
এর আগে জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্যের কথা সামনে আসতেই সাউথ ব্লকের তরফে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কড়াভাবে তাঁকেও জানানো হয়, ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে জার্মানির নাক গলানোর কোনও দরকার নেই। মার্কিন মুখপাত্রকেও একই বার্তা দিল ভারত সরকার।