নির্বাচন কমিশন ৪৬৫০ কোটির নগদ-সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে, সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেল ২০২৪-এর ভোট - প্রতীকী চিত্র
শেষ আপডেট: 15th April 2024 20:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভা ভোটের আগে এ পর্যন্ত নগদ ও বিভিন্ন সামগ্রী মিলিয়ে প্রায় ৪৬৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ৭৫ বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে এটাই সর্বোচ্চ বাজেয়াপ্ত করা নগদ ও সামগ্রীর টাকার পরিমাণ। স্বভাবতই ২০১৯ সালে যে সর্বোচ্চ পরিমাণ বাজেয়াপ্ত করার রেকর্ড ছিল, তাও নির্বাচনের চারদিন আগেই পেরিয়ে গিয়েছে কমিশন। আক্ষরিক অর্থেই কমিশনের দেওয়া এই তথ্যে প্রমাণিত যে, প্রতিটি নির্বাচনে কী পরিমাণ বেআইনি টাকা ওড়ে। ভোটারদের যে কোনওভাবে প্রভাবিত করতে এই টাকার লেনদেন হয়। তবে যে পরিমাণ টাকা ভোটে ব্যবহার করা হয়, বাজেয়াপ্ত করার পরিমাণ তার হিমশৈলের চূড়ার মতো।
ভোট ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের নজর থাকে নির্বাচনে যাতে কোনওভাবেই নগদ নারায়ণের প্রভাব না পড়ে। তাই রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ নজরদারি শুরু করে। তাছাড়াও নানান সূত্র মারফত খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে হিসাব বহির্ভূত টাকা হেফাজতে নেয় কমিশন। সন্দেহ যে, এইসব টাকা কোনও না কোনওভাবে ভোটে ব্যবহার করা হতে পারে।
কমিশনের হিসাব মতে, এ বছর গত ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যা গত লোকসভা ভোটের চেয়েও বেশি। শুধু তাই নয়, দেশে লোকসভা ভোটের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এত পরিমাণ টাকা কখনও ধরা পড়েনি।
কমিশন জানিয়েছে, এই পরিমাণ টাকা ধরার জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ভিডিও তদারকি দল, আর্থিক পরিসংখ্যানে নজর রাখা দল এবং ময়দানে নেমে কাজ করা পুলিশ বাহিনী দিনরাত এক করে কাজ করেছে। কমিশনের সজাগ নজর রয়েছে, নগদ টাকা, মদ, নেশার দ্রব্য এবং উপহার বা অনুদান যাতে কোনওভাবেই ভোটারদের দিয়ে তাঁদের প্রভাবিত না করতে পারে কোনও দল।
মোট টাকার পরিমাণের মধ্যে নগদ, মদ, মাদক, সোনারুপোর গয়না এবং বিভিন্ন ধরনের খয়রাতির দ্রব্য। বিভিন্ন ধরনের মাদকই মোট বাজেয়াপ্ত মালের ৪৫ শতাংশ। কমিশন ২০৬৮.৮ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এ বছর। গত লোকসভা ভোটে এর পরিমাণ ছিল ১২৭৯.৯ কোটি টাকার। খয়রাতি বা উপহার জাতীয় সামগ্রী ধরা পড়েছে ১১৪২.৪৯ কোটি টাকার। গতবার যা ছিল ৬০.১৫ কোটির। নগদ টাকার পরিমাণ হল ৩৯৫.৫ কোটি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নগদ ধরা পড়েছিল ৮৪৪ কোটি টাকা। এ বছর ৪৮৯.৩ কোটি টাকার মদ ধরেছে কমিশন। গতবার যা ছিল ৩০৪.৬ কোটি টাকার। দামি ধাতু ধরেছে ৫৬২.১ কোটি টাকার। গতবার যা ছিল ৯৮৭.১১ কোটি টাকার।