শেষ আপডেট: 14th March 2024 12:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে দেশজুড়ে কার্যকর সিএএ। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তো শুরু হয়েছেই, আমজনতার একাংশের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। কারণ, ঠিক লোকসভা ভোটের প্রাক্কালেই এই আইন লাগু হল। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন। তবে সকলকে স্বস্তির খবর দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
২০১৫ সালের পর ভোটার তালিকায় নাম ওঠা অনেক ব্যক্তিরই আশঙ্কা ছিল যে, সিএএ লাগু হওয়ার পর অনেকর নাম বাদ যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্টত জানিয়েছে, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর কারওর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না। কমিশন এও বলছে, লোকসভা ভোটের সঙ্গে সিএএ-র কোনও সম্পর্কই নেই। তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ মনে করেছিলেন, ভোটার তালিকায় নাম তুলতেও হয়তো এবার সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সে বিষয় নিয়েও আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের আগে পর্যন্ত যে কোনও সম্ভাব্য ভোটার তাঁর নাম নথিভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। কোনও ধরনের সংশোধনের জন্যও আবেদন করা যাবে নিয়ম মতোই। মনে করা হচ্ছে, নতুন ভোটাররা তো বটেই, কমিশনের এই বার্তায় সার্বিকভাবে সব ভোটাররাই এবার নিশ্চিন্ত হবেন।
আইন পাস হয়েছিল আগেই। চার বছর পর দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টানরা যদি ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নিতে চান, সে ক্ষেত্রে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা দেশে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং ইতিমধ্যেই ভারতে ৫ বছর বাস করেছেন, তাঁরা এ দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আদতে মুসলিমদের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ আছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার অবশ্য জবাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-তে মুসলিমদের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়নি। তাদের কোনও সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা হবে না। বিরোধীদের অভিযোগ, এই নয়া আইন ধর্মীয় বিভেদ বাড়াবে। তবে সেই অভিযোগ মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।