শেষ আপডেট: 29th April 2024 13:05
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কমিশনের শোকজ, দলের বকা। তবুও বেলাগাম খড়গপুরের সাংসদ। সোমবার তিনি বললেন, "এত চোর, ডাকাত, গুন্ডা, বদমাশ- তাদের তাড়ানোর দায়িত্ব তো কাউকে নিতে হবে, আমি নিয়েছি। তাই লোকে আমাকে ভরসা করে লাঠি দিচ্ছে, গদা দিচ্ছে। বাকিদের হাতে তো বান্ডিল দেয়।" শাসকদলের অভিযোগ শান্তির শহরে অশান্তি পাকাতেই এই সব বলছেন তিনি। সোমবার সকালে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রাতঃভ্রমণের সময় জনসংযোগ সারেন বর্ধমান শহরের কালীবাজার এলাকায়।
সপ্তাহখানেক আগে দিলীপ ঘোষের জন্মদিনে একজন বিজেপি কর্মী তাঁকে একটি কলম উপহার দিলে, তিনি বলেছিলেন কলম নয়, একটি লাঠি দিলে ভাল হত। তারপরেই রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরে কার্জনগেটের পাশে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত ৭ নম্বর নগর মণ্ডল কমিটির নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে আসলে দিলীপ ঘোষের হাতে একটি লাঠি তুলে দেন এক বিজেপি কর্মী। ওই লাঠি হাতে নিয়ে দিলীপবাবু বলেছিলেন, "এই লাঠি যেন ব্যবহার না করতে হয়।"
সোমবার ফের সেই লাঠির প্রসঙ্গই নিয়ে এলেন তিনি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি নিয়ে বললেন, "টিএমসি চুরি করবে, লুঠ করবে, আবার কোর্টে গিয়ে থাপ্পর খাবে।" মুর্শিদাবাদে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যেমন ভারত থেকে বাংলাকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে তেমন বাংলা থেকে মুর্শিদাবাদকে আলাদা করার চেষ্টা হচ্ছে। ওখানে টিএমসি গুন্ডা ও সন্ত্রাসবাদীদের দিয়ে মুক্তাঞ্চল করে রেখেছে। যেমন বোমা-বারুদ-বিস্ফোরক মজুত হচ্ছে, তেমনি বিস্ফোরণও হচ্ছে। বাংলার বদনাম হচ্ছে।"
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বর্ধমানে কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। তাই দিলীপ ঘোষ দায়িত্ব নিয়েছেন অশান্তি পাকানোর। সেই জন্য তিনি এসব হুঙ্কার দিচ্ছেন। তবে এখানকার মানুষ জানেন কাকে কী ওষুধ দিতে হয়। ৪ জুনের পর এসব লোকেদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।"