শেষ আপডেট: 23rd May 2024 22:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মী খুনের ঘটনায় রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। কীভাবে ঘটনা এবং ঘটনা পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে খুনীদের আড়াল করার অভিযোগ এনে এ ব্যাপারে শুক্রবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে এফআইআরের নম্বরও নিয়ে আসেন শুভেন্দু।
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, "রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারদের মতো আচরণ করছে। সারাদিন কেটে গেলেও পুলিশ খুনীদের গ্রেফতার করেনি। বিচার চাইতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।"
আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে। তমলুক লোকসভার মধ্যেই পড়ে নন্দীগ্রাম। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের ২ দিন আগে বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় রণক্ষেত্রর চেহারা দেখা গেছে একদা জমি আন্দোলনের গর্ভগৃহে।
বিজেপি সূত্রের দাবি, বুধবার রাতে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় রাত পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তখনই বাইকে করে তৃণমূলের এক দল দুষ্কৃতী সেখানে পৌঁছে ধারাল অস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করে। বাধা দিতে গেলে রতিবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে এলোপাথাড়ি কোপ চালায় দুষ্কৃতীরা। মাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন রতিবালার পুত্র সঞ্জয়ও। জখম হন আরও পাঁচ বিজেপি সমর্থক।
এরপরই চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা এগিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রতিবালা আড়িকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ২ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে তমলুক হাসপাতালে।
বিজেপির অভিযোগ, বুধবারই নন্দীগ্রামে সভা করতে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে একাধিক উস্কানি মূলক মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক। তার ফলেই এই হামলা। অন্যদিকে অভিযোগ উড়িয়ে পরিস্থিতির জন্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
উত্তেজনা থাকায় নন্দীগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকার পাহারার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি এলাকায় টহল দিচ্ছে রাজ্য পুলিশও।