শেষ আপডেট: 6th June 2024 21:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পরাজয়ের পর দলের একাংশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত এবং কাঠিবাজির অভিযোগ এনেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার দিলীপের ওই মন্তব্যকে ১৬ আনা সমর্থন জানিয়েছেন রানাঘাটের জয়ী বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। জগন্নাথ বলেন, "রাজনীতিতে কাঠিবাজি থাকবে, সেটাই চিরন্তন সত্য। তবে ভোট ঘোষণার পর শেষ মুহূর্তে এক জন প্রার্থীর আসন বদল কোনও দলের পক্ষেই কাম্য নয়।”
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য সম্পর্কে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "আমার মনে হয় দিলীপদার এই বক্তব্যকে দল সমর্থন করবে না।"
একই সঙ্গে সুকান্তর কৌশলী মন্তব্য, " “বহু আগে তো আমিই বলেছিলাম বাঙালিদের সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার কাঠি। তা সেই বাঙালি রাজনীতিতে থাকুক বা অন্য কোথাও থাকুক। অসুবিধা তো নেই কাঠি ব্যবহার তো করবেই।”
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, দিলীপ ঘোষের 'কাঠিবাজি' মন্তব্য নিয়ে কী বিজেপি বিভক্ত? তাই কি এমন কৌশলী মন্তব্য করতে হল রাজ্য সভাপতিকে। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে সুকান্ত মজুমদারের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিকবার দিলীপ ঘোষ গর্বিত কণ্ঠে জানিয়েছিলেন, 'আমার ডিকশনারিতে পরাজয় বলে কোনও শব্দ নেই'। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ভোটে পরাজিত হওয়ার পর দ্য ওয়ালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "দুর্গাপুরে দাঁড়াতে চাইনি, জোর করে প্রার্থী করায় দু'কূল গেল দলের।"
এখানেই না থেমে নাম না করে দলের একাংশের দিকে আঙুল তুলে দিলীপ এও বলেছেন, “কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তারপরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি।”
এরপরই দিলীপের আনা 'কাঠিবাজি' অভিযোগ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।