শেষ আপডেট: 29th May 2024 14:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিষ্ণুপুরে ভোট মিটতেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। বুধবার বাঁকুড়া পুলিশের তরফে ফেসবুক পোস্ট করে ওই অভিযোগকে অস্বীকার করা হল।
পুলিশের দাবি, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই ইভিএমগুলি সুরক্ষিত ও নিরাপদে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি তৈরি করতেই সোশ্যাল মাধ্যমে ভুয়ো প্রচার করা হয়েছিল। পুলিশের তরফে অবশ্য সরাসরি বিজেপি প্রার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত ২৫ মে, শনিবার ষষ্ঠদফায় ভোট মিটেছে বিষ্ণুপুরে। সোমবার বিষ্ণুপুর কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেন, স্ট্রং রুমের সিসি ক্যমেরা বদল করে পুলিশ স্ট্রং রুমের ভেতরে থাকা ইভিএম বদলের ছক কষেছিল। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কাজে মদত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এ ব্যাপারে কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন সৌমিত্র। কমিশনের তরফে এখনও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে বুধবার বাঁকুড়া পুলিশের পেজ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়েছে।
Some social media handles have posted unverified videos alleging EVM & CCTV manipulations at the strong room of 37-Bishnupur PC. The posts are factually incorrect & misleading. Strong room of Bishnupur PC is completely safe & secure as per the protocols of the Hon’ble ECI.
— Bankura Police (@spbankura) May 29, 2024
The…
জেলা পুলিশের বক্তব্য, ৩৭ বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুমে ইভিএম এবং সিসিটিভি কারচুপির অভিযোগে সোশ্যাল মাধ্যমে যে পোস্টগুলো ছড়ানো হয়েছে তা অসত্য। পুলিশের দাবি, কমিশনের নিয়ম মেনেই ইভিএমগুলি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে। বিভ্রান্তি তৈরি করতেই এই পোস্ট করা হয়েছিল।
পুলিশের তরফে পোস্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থীদের উপস্থিতিতেই স্ট্রং রুমের দরজা সিল করা হয়েছিল।
গত সোমবার বিষ্ণুপুর কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে হাজির হয়ে ফেসবুক লাইভে সৌমিত্র অভিযোগ করেছিলেন স্ট্রং রুম থেকে ইভিএম মেশিন বদলের চেষ্টা করেছে জেলা পুলিশ।
ওই প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে বাঁকুড়া পুলিশের দাবি, সোশ্যাল মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে, যে ব্যক্তিকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে, তিনি কমিশনের একজন বৈধ কর্মী। ভিডিওতে তিনি স্পষ্টভাবে একথাও বলছেন যে তিনি স্ট্রং রুমের নয়, ডিসি/আরসি-র সিসিটিভি ক্যামেরা সরাতে এসেছেন। তা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে এও লেখা হয়েছে, চাইলে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ২৪ ঘণ্টায় স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলির ছবি দেখতে পারেন। ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর ডিসি/আরসিতে ক্যামেরার আর কোনো প্রয়োজন থাকে না। সেকারণেই সেগুলি সরানো হয়েছিল। পুলিশের তরফে এও জানানো হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ উপস্থিতিতেই ২৪ ঘণ্টা স্ট্রং রুমে নজরদারি রাখা হয়েছে।
পুলিশের এহেন পোস্টের প্রেক্ষিতে অবশ্য বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে গত সোমবার সৌমিত্রর অভিযোগ জানানোর পরই শাসকদল তৃণমূল দাবি করেছিল, পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই মিথ্যে অভিযোগ সামনে আনছেন সৌমিত্র।