Advertisement
রাহুল গান্ধী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী - ফাইল ছবি ।
Advertisement
শেষ আপডেট: 9 April 2024 19:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একদিনের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করতে ঠিক কত টাকা খরচ হয়? ঘণ্টা-কিলোমিটার দরে ভাড়া পাওয়া যায়, নাকি সারাদিনের হিসাবে ভাড়া দেয়?
ভোট এলেই সব সাত পাঁচ কৌতূহলের অনেকের মনে উঁকি মারে? কোন নেতার কত ওজন তাও অনেকে মাপার চেষ্টা করেন, কপ্টার দিয়ে। অর্থাৎ প্রচারের জন্য দল কাকে কাকে হেলিকপ্টার দিচ্ছে, কাদেরই বা দিচ্ছে না!
কিন্তু এবার ভোটে যেন পুরনো সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে চলেছে। ভোট-বাংলায় আকাশে ফড়িংয়ের মতো ইতি উতি উড়ে বেড়াতে দেখা যেতে পারে হেলিকপ্টার। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এরই মধ্যে ১২৭টি হেলিপ্যাড তৈরির আবেদন জমা পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে। সূত্রের খবর, এর মধ্যে তৃণমূলের তরফে ১১৬টি, বিজেপি ৭টি এবং অন্যান্যরা ৪টি হেলিকপ্টারের আবেদন করেছে। মনে করা হচ্ছে শেষমেশ সংখ্যাটা এর দ্বিগুণে পৌঁছে যেতে পারে। কারণ, ভোটের প্রচার চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। এখনও মেলা বাকি।
রবিবার পুরুলিয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, হেলিকপ্টার ভাড়ার ক্ষেত্রেও রাজনীতি করছে বিজেপি। মমতার অভিযোগ ছিল, অন্য দলগুলি যাতে আবেদন না করতে পারে তাই আগেভাগে সব জায়গায় হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য আবেদন জানিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবির।
এ ব্যাপারে অবশ্য এর বেশি কিছু বলতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট ছিল, বিজেপির একাধিক আবেদনের জেরে বিরোধী দলগুলি আবেদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। কারণ, একই জায়গায় একই দিনে একাধিক হেলিকপ্টার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বিবিধ বিধিনিষেধ।
এমনিতে ভোটের সময়ে হেলিকপ্টারের ভাড়াও অনেক সময় বেড়ে যায়। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের সময়ে। কারণ, গোটা দেশে প্রচারের জন্য সব রাজ্যেই হেলিকপ্টারের চাহিদা থাকে। সেই তুলনায় জোগান কম। অনেক সময়েই দেখা যায়, একদিনের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়।
১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুর দুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে। কোচবিহারে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৩ জন। আলিপুরদুয়ার ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫২ জন এবং জলপাইগুড়িতে ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৬৩ জন।
তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের স্পর্শকাতর বুথ কতগুলি, কোথায় কীভাবে বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে মঙ্গলবারই কমিশনের দফতরে পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মা। বৈঠক শেষে এদিনই তিনি প্রথম দফার তিনটি লোকসভা কেন্দ্র পরিদদর্শনে রওনা দিয়েছেন।
কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, সি-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটকে ঘিরে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৬৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ২৮৯ টি বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৪৬ রাউন্ড গুলি এবং ৭৯৮টি বোমা।
'সন্ত্রাস' ঠেকাতে ওয়েব কাস্টিংয়ের সাহায্যে এবারে রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথে নজরদারি চালানোর কথা জানিয়েছে কমিশন। অর্থাৎ ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরার পাশাপাশি ভোটের দিন ক্যামেরার সাহায্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের হাল হকিকতের নজরদারি রাখবেন কমিশনের কর্তারা।
Advertisement
Advertisement