শেষ আপডেট: 20th April 2024 16:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার ছিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা হতে এখনও দেড়মাস বাকি। তবে ভোট মিটতেই শুক্রবার রাতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল চোখে পড়েছে। উত্তরবঙ্গ বরাবরই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গতবার তিনটি আসনেই জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু এবার বদলাবে ভোট বাক্সের অঙ্ক। প্রথম দফার তিনটে আসনের তিনটেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস, শনিবার এমনই দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জে ভোট। তার আগে এদিন সেখানেই তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর হয়ে সভা করেন অভিষেক। প্রচারসভা থেকে তিনি বলেন, "কাল উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনে নির্বাচন ছিল। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির মা, বোন, ভাইরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে। ২৬ তারিখ আপনাদের সময়, যে যে ভাষায় শিখবে, তাঁকে সেই ভাষায় শিক্ষা দিন।’
অভিষেকের কথায়, শুক্রবারের প্রথম দফার তিন লোকসভার আসনে তৃণমূলই জিততে চলছে। সঙ্গে রায়গঞ্জের ভোটারদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, ‘একবারই সুযোগ মিলছে, জানি না, শেষে এঁরা ( বিজেপি) নির্বাচনে জিতে গেলে এঁরা আর ভোট করতে দেবে কিনা। আপনার অধিকার বোঝার জন্য ২৬ তারিখ সুযোগ মিলবে।’
রায়গঞ্জ এবার বিজেপি থেকে আসা কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন কৃষ্ণ কল্যাণীকে এখান থেকে প্রার্থী করা হল? সেই বিষয়েও এদিনের সভা থেকে জবাব দেন অভিষেক। এ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, ‘ কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছেড়ে আসার পরেই ওঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের হানা। দু’দিন ধরে চলেছিল। তা-ও তিনি নত হননি। লড়াই করেছেন। যে নিজের ভালবাসা নিয়ে এঁদের সঙ্গে লড়াই করে, তাঁর জনতার প্রতিনিধি হওয়া উচিত।"
রায়গঞ্জ কেন্দ্র একটা সময় কংগ্রেসের অধীনে ছিল। এর আগে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন। গতবার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী জিতে যেতে পারতেন, কংগ্রেস এবং সিপিএম মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এক লাখ ভোট কেটেছিলেন। তাই তৃণমূল প্রার্থীকে হারতে হয়েছিল বলেও দাবি করেন অভিষেক। সঙ্গে গতবারের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপির স্থানীয় সাংসদ দু’বছর কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন। একটাও প্রকল্প কি এনেছিলেন?’’
আর পাঁচটা নির্বানী প্রচারের মতো এক্ষেত্রেও একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। বিগত দিনে ইডি, সিবিআইয়ের 'তৎপরতা' নিয়েও খোঁচা দেন অভিষেক। তাঁর মতে, ‘‘আমাদের কম ভয় দেখায়নি। ইডি, সিবিআই। ঘর, পরিবার, মা-বাবা, বাচ্চা কাউকে ছাড়েনি। তবু মাথা উঁচু করে লড়ছি। দিল্লির কুকুর হয়ে থাকার থেকে বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব। ’’ একইসঙ্গে রায়গঞ্জে তৃণমূল জিতলে তিনি ৪ জুন ফল ঘোষণার পর ফের আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।