শেষ আপডেট: 16th March 2024 09:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার বিকাল ৩’টায় লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার মধ্য দিয়ে গোটা দেশে আদর্শ আচরণ বিধি বা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (এমসিসি) চালু হয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, এমসিসি চালু হওয়ার অর্থ, ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে গোটা দেশের প্রশাসন শনিবার থেকে কমিশনের অধীনে কাজ করবে। ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে কমিশনের আইন মেনে। সেই আইন অনুযায়ী এমসিসি শুধু মাত্র রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের উপর নয়, সব নাগরিকের উপর বলবৎ হবে।
শনিবার এমসিসি চালু হওয়ার পর থেকেই কমিশনের নির্দেশে অভিযানে নেমে যাবে আয়কর ও ইডির মতো সংস্থাগুলি। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের মতো এবারও কমিশন ভোটে কালো টাকার ব্যবহার আটকাতে জোরদার অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়কর, ইডি, সিবিআই, আইবি-সহ সব কেন্দ্রীয় এজেন্সির শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে কমিশন কর্তারা বৈঠক করেছেন। রাজ্য সফরে গিয়ে রাজ্যের এজেন্সিগুলিকেও কালো টাকা উদ্বারে তাদের কর্তব্য বুঝিয়ে দিয়েছে কমিশন।
বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা কেউ বহন করলে সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। নথিপত্র দেখাতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অর্থ বাজেয়াপ্ত করে তাকে হেফাজতে নেবে অভিযানকারী সংস্থা। শুধু নগদ অর্থই নয়, সোনাদানা-সহ যাবতীয় অলঙ্কারের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বলবৎ হবে।
কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল যা নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনের নিজস্ব বাজেটের নব্বই ভাগের সমান। টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনা আটকাতে কমিশনের তরফে আয়কর, ইডির অফিসারেরা ট্রেন, বাস, বিমান, প্রাইভেট কারে অভিযান চালাবে। তাই জরুরি প্রয়োজনেও ক্যাস টাকা বহন করলে সঙ্গে উপযুক্ত নথিপত্র রাখা দরকার।
লোকসভা ভোট ২০২৪ ভোট পরিচালনার নেতৃত্বে থাকবেন যে তিনজন বাঁদিকে কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু, মাঝে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং ডান দিকে জ্ঞানেশ কুমার।
এমসিসি অনুযায়ী আরও কী কী বিষয়ে বিধিনিষেধ বলবৎ হবে?
• ভোট ঘোষণা হওয়া মাত্র মন্ত্রীরা প্রশাসনিক কাজ বাদে অন্য সময় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যতিক্রম শুধু প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীরা সরকারি বুলেট প্রুফ গাড়ি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করলে কমিশন নির্ধারিত হারে ভাড়া মেটাতে হবে দলকে।
• শনিবার থেকে সরকার নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করতে পারবে না। শিলান্যাস, উদ্বোধনও করতে পারবেন না মন্ত্রীরা।
• রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মিটিং-মিছিলের জন্য প্রশাসনের আগাম অনুমতি নিতে হবে।
• সরকারি ময়দান, অতিথি আবাস বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সব দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে।
• কমিশন এবার নতুন সিদ্ধান্তে জানিয়েছে, মন্দির-মসজিদ-গির্জার মতো উপাসনাস্থলকে কোনওভাবে ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। প্রার্থীরা সেখানকার ভোটারদের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারবেন। সদলবলে যাওয়া যাবে না।
• সরকারি সম্পত্তির দেওয়ালে লেখা, পোস্টার-ব্যানার লাগানো যাবে না। ব্যক্তি বিশেষের বাড়ির দেওয়ালে লেখা, প্রচারে সামগ্রী লাগাতেও মালিকের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।