
গণেশ পুজো কেন পুণ্যের, ছোট্ট ইঁদুর কেন বাহন গণপতির
অনির্বাণ
দুর্গার এক ছেলে গণেশ। বিঘ্ন নাশকারী। অষ্টপাশ নাশকারী। অষ্টপাশ হচ্ছে ঘৃণা, অপমান, লজ্জা, মান, মোহ, দম্ভ, দ্বেষ ও বৈগুণ্য। গণেশের মধ্যে এই অষ্টপাশ ছেদ করার ভাব বর্তমান। গণেশ গণশক্তির ঐক্যবদ্ধতারও প্রতীক।
গোটা দেশেই পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। মহারাষ্ট্রে সব থেকে বড় পুজো এই গণেশ চতুর্থী। বলা হয় কৈলাশ ছেড়ে ভক্তদের আশীর্বাদ করতে এই সময়ে মর্ত্যে নেমে আসেন গণপতি। গণপতি, বিনয়াক এবং বিঘ্নহন্তার মতো নানা নাম গণেশের। বলা হয়, গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। মহেশ্বর ও দেবী পার্বতীর দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন গণেশ।
সনাতন বিশ্বাস এমন যে, শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নানা বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে ভক্তরা এই পুজো করেন। কথিত আছে, সমস্ত শুভ কাজের শুরু শ্রী গণেশের নাম নিয়ে করলে তা সফল হয়। গণেশ পুজো বাদ দিয়ে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হয় না। দেবতাদের মধ্যে তাঁকেই প্রথম পূজ্য বলে গণ্য করা হয়।
গণেশের বাহন ইঁদুর বা মুষিক। ইঁদুর মায়া ও অষ্টপাশ ছেদনের প্রতীক। প্রশ্ন জাগতে পারে, ওইটুকু একটা প্রাণী এত বিশাল শরীরের একজনকে কী করে বহন করে! মূলত এখানে ইঁদুরের চরিত্রবৈশিষ্ট্য মুখ্য। এই ছোট্ট প্রাণী একটু একটু করে আস্ত পর্বতও কাটতে পারে। এটি মূলত ধৈর্য, অধ্যবসায়, উদ্যমের প্রতীক। তাই গণেশের বাহন ইঁদুর।