শেষ আপডেট: 22nd November 2023 12:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যত দিন যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে হার্টের অসুখ (Heart Disease)। কোভিডের ঠিক পরে পরেই হার্ট অ্যাটাকে পরপর মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছিল। কেন হঠাৎ এত বেড়ে গেল হার্টের ব্যামো? শুধুই কি করোনা? নাকি দায়ী আরও কিছু ফ্যাক্টর?
কেন বাড়ছে হার্টের অসুখ?
হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অসুখ বাড়ার অনেকগুলো কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম জীবনযাপনে পরিবর্তন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা, স্ট্রেস ইত্যাদি। এ ছাড়া হার্টের অসুখের জন্য কিছু জেনেটিক বা বংশগত কারণও আছে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল যদি বেশি থাকে, তাহলে হার্টের স্বাস্থ্যতেও তার প্রভাব পড়ে। মানুষ যত বেশি ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন, ততই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে। ফলে হার্টও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে আবার লং কোভিডও আঘাত হেনেছে হার্টের সার্বিক ভাল থাকায়, তাই হার্টের রোগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। পাশাপাশি স্ট্রেস, মানসিক দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিসের রিস্ক ফ্যাক্টর- এসব তো রয়েছেই।
রোগীর কোন কোন লক্ষণ দেখলে বোঝা যাবে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে?
বুকে ব্যথা, ঘাম, নিঃশ্বাসে কষ্ট, মাথা ধরা এই সব লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হাতে -পায়ে ঝিনঝিনও ধরতে পারে। মূলত রক্তে এল ডি এল (খারাপ) কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং এইচ ডি এলের (ভালো)মাত্রা কমে গেলে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়।
কীভাবে রোধ করা যাবে হার্টের অসুখ?
দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করতে হবে। মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। অত্যধিক পরিশ্রমও করা যাবে না। ব্লাড সুগার এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ব্লাড প্রেসার এবং সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সবকিছুর পাশাপাশি প্রতিদিন হাঁটতে হবে।
সাধারণভাবে তেল, ঘি এবং চর্বিজাতীয় জিনিস না খাওয়াই ভাল। মশলাদার খাবারও কম খেতে হবে। সুগার থাকলে মিষ্টি জাতীয় জিনিস বর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে অত্যধিক নুনও খাওয়া যাবে না।
যদি হার্টের অসুখের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে ৩০ পেরোলেই প্রতি বছর অন্তত একবার করে হার্টের নিয়মিত চেক আপ করাতে হবে।
হার্ট ব্লকেজ ধরা পড়লে সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সময় থাকতে। অনেকের ধমনীতে ব্লকেজ হয় ধীরে ধীরে। আবার কারও ক্ষেত্রে হঠাৎ ক্লট বার্স্ট করে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, যা প্রাণঘাতী। লাইফস্টাইলে পরিবর্তন, ওজন কমানো, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও একটা বয়সের পরে নিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজন।