
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুধের পুষ্টিগুণের জন্যই দুধকে সুষম আহার বলা হয়। রোগা হওয়ার দৌড়ে অনেকেই খাবার প্লেট থেকে অনেক কিছু বাদ দিলেও, গ্লাস থেকে দুধ বাদ দেন না। দুধ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ফ্যাটের যেমন উৎস, তেমনি আবার আমাদের মেটাবলিসম, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কিন্তু কারও কারও আবার ল্যাকটোস ইনটলারেন্স থাকে, তাঁদের সহজে দুধ হজম হয় না। আমরা অনেকেই আবার গরুর দুধ খুব পছন্দ করলেও, সেটা হজম করতে পারি না। আর এই গরুর দুধ থেকে বেশ কিছু ওষুধ যেমন তৈরি হয়, তেমনি আবার এই দুধ আমাদের দেহে আয়রন এবং কপারের মতো নিউট্রিয়েন্টের শোষণে বাধা দেয়। তাই গরুর দুধের বদলে আপনি ছাগলের দুধ খেতেই পারেন। যেমন নিয়মিত খেতেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। আর তাতে অনেক সমস্যার সমাধানও হতে পারে সহজেই।
সহজ পাচ্য
তুলনামূলকভাবে ছাগলের দুধ কম মিষ্টি, তাই এটা হজমও হয় চটপট। গরুর দুধ হজম করতে যাঁরা সমস্যায় পড়েন, তাঁদের জন্য এই দুধ তাই কাজে আসে। রেগুলার মিল্কের চেয়ে দ্বিগুণ পুষ্টি ছাগলের দুধে রয়েছে।
ছাগলের কাঁচা দুধ অসুখের ঢাল
রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে দেয়। তাই ডেঙ্গি বা যে কোনও ভাইরাল জ্বরে সুস্থ হতে কাজে আসে ছাগলের দুধ। এতে থাকা অ্যান্টিবডি সহজেই জণ্ডিসের মতো কঠিন রোগকে সারিয়ে ফেলে।
গরুর দুধের বিকল্প
গরুর দুধ খেলে, অন্য যে কোনও খাবার থেকে আপনার শরীর সহজে আয়রন এবং কপারের মতো জরুরি মিনারেলগুলো শুষে নিতে পারে না। কিন্তু ছাগলের দুধ সহজেই সেটা পারে। তাই ছাগলের দুধ খেলে সহজেই আপনার শরীর প্রয়োজনীয় সব মিনারেলগুলো যে কোনও খাবার থেকে নিতে পারবে। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি শরীরের সামগ্রিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
অন্ত্রের জন্য ভালো
ছাগলের দুধে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টি আপনার পেটের ভিতরে কোনও সমস্যাকে সহজে কমিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এই দুধে থাকা এন্জ়াইম সাধারণত পেটের ভিতরের যে কোনও প্রদাহকেই কমিয়ে দেয়। এমনকি যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য এই দুধ যথেষ্ট কাজে আসে।
বাড়ন্ত বাচ্চাদের জন্য ভালো
ছাগলের দুধ প্রোটিন, গুড ফ্যাট, ভিটামিন, আয়রন এবং অন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ারহাউস বলা যায়। এতে থাকা ক্যালসিয়াম আপনার হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে। তাই বাড়ন্ত শিশুর বিকাশে যথেষ্ট শক্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।