
চৈত্রেই চরম গরম, দরদরে ঘামে ঘরে ঘরে বাড়ছে নানা অসুখ, সাবধান করছেন চিকিৎসকরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্যালেন্ডারের হিসেবে এখনও পেরোয়নি বসন্ত। চৈত্র মাস শেষ হতে এখনও দিন পনেরো বাকি। কিন্তু দরদরে ঘাম আর প্রখর রোদে তা টের পাওয়া যায় না দিনভর। সারাদিন ঝলসে যাওয়ার পরে বাড়ি ফিরে এসি চালাতে শুরু করেছেন অনেকেই, সেই এসির হাওয়া কিন্তু ভোর রাতে এখনও একটু শিরশিরে ঠান্ডা টের পাওয়াচ্ছে। আবার সকাল হতেই ঘাম-গরম।
তাপমাত্রার এই তারতম্যেই এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে রোগ সৃষ্টিকারী নানা পরজীবী। নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ই কোলাই-এর মতো জীবাণুদের যেন পোয়াবারো। ফলে বাড়ছে ফুসফুসে সংক্রমণ, পেটখারাপ। শিশু ও বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম। ফলে এই আবহাওয়া তাঁরা ভুগছেনও বেশি। যে কারণে আচমকাই এই গরমে চিকিৎসকদের চেম্বারে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। হাল্কা জ্বর, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেটখারাপের মতো সমস্যা নিয়ে আসছেন রোগীরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত ঘাম এবং সেই ঘাম শরীরে বসে সমস্যা হতে পারে ছোটদের। বড়রা যত সহজে ঘাম মুছতে বা পোশাক বদলাতে পারেন, ছোটদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। আবার রাতে ছোটদের খালি গায়ে শোয়ালেও সমস্যা। ভোরবেলার দিকে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
ফলে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা ব্যাকটিরিয়ার বাড়বাড়ন্তে ফুসফুসের উপরিভাগের সংক্রমণ বাড়ছে। শুধু শিশু বা বৃদ্ধ বলে নয়, ধূমপায়ীদেরও আলাদা করে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা। সাবধান করছেন ঠান্ডা-গরম খাওয়া নিয়েও। গলা খুশখুশ এড়াতে ঠান্ডা খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গরম খাবার খেলেই সর্বনাশ। আবার খুব গরমে ঢকঢক করে ঠান্ডা জল খেয়ে ফেললেও বিপদ। দু’ধরনের তাপমাত্রায় শরীর খারাপ হতে পারে।
বয়স্ক মানুষদের জন্য আর এক ধরনের সতর্কবাণীও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানিয়েছেন, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের সাবধানে রাখতে হবে। কারণ, ডায়াবেটিসের ওষুধ খেলে এমনিতেই সোডিয়ামের তারতম্য হয় শরীরে। ফলে আচমকা গরমে অতিরিক্ত ঘাম শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে সোডিয়াম একেবারে কমে যেতে পারে, যা বিপদ ডেকে আনবে অতর্কিতে।
তাই দিনের বেলা ঘর থেকে বেরোলে বয়স্কদের হাতে ছাতা অথবা টুপি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও সকলকেই রাখতে বলছেন জলের বোতল। রাস্তার কোনও পানীয় না খাওয়াই ভাল।